সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

শপথ নিলেন ৫ জন বিচারপতি । কিন্তু ভাল কী কমবে ?

নতুন পাঁচ বিচারপতি শপথ নিয়েছেন। তার পরেও কলকাতা হাই কোর্টে ৫০ শতাংশ বিচারপতি পদ ফাঁকা। নতুন বিচারপতিরা দায়িত্ব নেওয়ায় আইনজীবীদের অনেকেই বলছেন, মামলা নিষ্পত্তির হার তুলনায় বাড়বে। তবে আইনজীবীদের অনেকে এ-ও মনে করছেন, হাই কোর্টে যে পরিমাণ মামলা জমে রয়েছে তাতে আরও বিচারপতি নিয়োগ করা প্রয়োজন বলে । ন্যাশনাল জুডিশিয়াল ডেটা গ্রিডের তথ্য অনুযায়ী, কলকাতা হাই কোর্টে বর্তমানে প্রায় ২ লক্ষ ৬২ হাজার মামলা বকেয়া রয়েছে। তার মধ্যে অধিকাংশই দেওয়ানি মামলা। গত এক মাসে ৫৬৩৬টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। তার মধ্যে ৩১৫৫টি দেওয়ানি এবং ২৪৮১টি ফৌজদারি মামলা। আইনজীবীদের অনেকেরই দাবি, অতিমারি পরিস্থিতির মধ্যেও হাই কোর্টে মামলার শুনানি ও নিষ্পত্তি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবারই শপথ নিয়েছেন বিচারপতি কেসাং ডোমা ভুটিয়া, বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত, বিচারপতি সুগত মজুমদার, বিচারপতি বিভাস পট্টনায়ক এবং বিচারপতি আনন্দকুমার মুখোপাধ্যায়। তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল। নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বিচারপতি মজুমদার এবং বিচারপতি পট্টনায়ক আগামী দু বছরের জন্য অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। বিচারপতি সামন্ত ২০২৩ সালের ২৩ জুন পর্যন্ত অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। বিচারপতি ভুটিয়া এবং বিচারপতি মুখোপাধ্যায়ের মেয়াদ যথাক্রমে ২০২২ সালের ৪ মে এবং ৪ অগস্ট পর্যন্ত। তবে নতুন বিচারপতিরা যোগ দিলেও গত এক বছরে বিচারপতির সংখ্যা কমেছিল হাই কোর্টে। আইনজীবীদের মনে করিয়ে দিচ্ছেন, অতিমারি পরিস্থিতির মধ্যেই বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত যথাক্রমে মেঘালয় এবং বম্বে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে বদলি হন। পরের দফায় বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় মাদ্রাজ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে নিযুক্ত হন এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী অন্ধ্রপ্রদেশ হাই কোর্টের বিচারপতি পদে নিযুক্ত হন। ২০২০ সালে হাই কোর্টে নিযুক্ত হয়েছিলেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়। তার পর এ বার এক দফায় পাঁচ জন নিযুক্ত হলেন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

COVID-19: মারণক্ষমতা হারাচ্ছে করোনাভাইরাস, দাবি অক্সফোর্ড। জেনে নিন....

জিনগত পরিব্যক্তির কারণে করোনাভাইরাস ক্রমশই মারণক্ষমতা হারাচ্ছে। এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্টের। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম।’’ আগামী দিনেও করোনাভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন ডেম। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এটি সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।’’ বৃহস্পতিবার ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় তাঁদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেছেন, ‘‘জিনের পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ ডেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে ‘নির্বিষ’ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেক...

চলো একটু ঘুড়ে আসি কাঞ্চনজঙ্ঘা বর্ননা ।

তাপসী ভূত বিশ্বাস করে না ঠিকই, কিন্তু সেটা খাস কলকাতায় বসে। এখন উত্তর সিকিমের এই প্রত্যন্ত গ্রাম— একে গ্রাম বলাও ভুল হবে, পাহাড়তলির ওপর ইতস্তত ছড়িয়ে থাকা কয়েকটা কাঠের বাড়ি— যেখানে সাঁঝবেলাতেই নিঝুম রাত নেমে এসেছে, এখানে ওর কেমন একটা ভয়-ভয় করছে। তার ওপর বাইরে অঝোরে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। এই অঞ্চলে এই একটাই হোম-স্টে সদ্য খুলেছে। সাকুল্যে চারটি ঘর। এখন এই ভরা বর্ষায় কেউ আসে না সাধারণত। যদি হঠাৎ রঞ্জনের অ্যাডভোকেট বন্ধু তমালের ফোন না পেত, তা হলে তাপসীও আসত না। অফিসে একটা জরুরি মিটিং চলছিল, তখনই আসে ফোনটা। মিটিং চলাকালীন খুব জরুরি না হলে ও কোনও ব্যক্তিগত ফোন ধরে না, তাই ‘মিটিংয়ে আছি, পরে ফোন করছি’ মেসেজ দিয়ে কেটে দিয়েছিল। পরে ফোন করতে তমাল কোনও ভণিতা না করে ওকে জানায় যে, রঞ্জন এখন অফিসের ট্যুরে দিল্লিতে নেই, মণিকার সঙ্গে গোয়ায় ছুটি কাটাতে গেছে। ওরা ফিরে এসে বিয়ে করতে চায়। তমালকে দায়িত্ব দিয়ে গেছে ডিভোর্সের শর্তাবলি তাপসীর সঙ্গে ফাইনাল করে রাখতে। রঞ্জন উদার ভাবে বলেছে, তাপসীর সব ন্যায্য দাবি ও মেনে নেবে, প্রকৃত ভদ্রলোকের মতো। তমাল কথা বলছিল পারিবারিক বন্ধু হিসেবে নয়, এক জন ল’ইয়ার হিসেবে। এতই ...

শরীরে জল জমেছে? সুস্থ থাকতে কী করবেন জেনে নিন....

নিয়ম করে স্বাস্থ্যসম্মত খাওয়াদাওয়া-শরীরচর্চা সবই করেন, অথচ ওজন কমছে না কিছুতেই। কেন ভেবে পাচ্ছেন না! শরীরে জল জমছে না তো? এমনিতেই মানবদেহের ৫০-৬০ শতাংশ জল থাকে, কিন্তু যদি দেহে জলের পরিমাণ তার চেয়েও বেড়ে যায়? ফলে হাত-পা-গোড়ালি ফুলে যেতে শুরু করে। ব্যথাও হতে পারে। এই সমস্যা প্রায়শই হতে থাকলে ডিপ ভেন থ্রম্বোসিস, ফুসফুসে জল জমার মতো জটিল রোগও দেখা দিতে পারে। কেন দেহে জল জমে? অনেক ক্ষণ একজায়গায় বসে আছেন? তার কারণে শরীরে জল জমতে পারে। ঠিক একই রকম ভাবে এক জায়গায় অনেক ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেও এই সমস্যা হতে পারে। এছাড়া ঋতুস্রাব, গর্ভাবস্থা ইত্যাদির কারণেও দেহে জল জমতে পারে। তবে এই সব কারণ ছাড়াই যদি বারবার শরীরে জল জমে তা হলে একবার হৃদ্‌যন্ত্র পরীক্ষা করে নেওয়া দরকার। ফুসফুস বা কিডনিতে কোনও জটিল রোগ বাসা বেঁধে থাকলে, তার উপসর্গ হিসেবেও দেহে জল জমতে পারে। কী করবেন? ১) খাবারে নুনের পরিমাণ কমান। চিপস, নিমকি, বড়া, সিঙ্গাড়া ইত্যাদি খাওয়া বন্ধ করুন। পাস্তা, পিৎজা, বার্গার, আইসক্রিম খাওয়াও চলবে না। ২) পাতে রাখুন টমেটো, কলা, অ্যাভোক্যাডো, শসা, বাঁধাকপি, পার্সলে পাতা ও পালং শাক। এছাড়া চিকিৎসকের...