শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬ হাজার ৭৫৯ জন। জুলাইয়ের পর এক দিনে রেকর্ড হারে সংক্রমণ বৃদ্ধি হয়েছিল। যদিও রবিবার কিছুটা কমল সংক্রমণ।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ হাজার ৮৩ জন। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ কোটি ২৬ লক্ষ ৯৫ হাজার ৩০। মৃত্যু হয়েছে ৪৬০ জনের। শনিবার দেশে মৃত্যু হয়েছিল ৫০৯ জনের। এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনার বলি ৪ লক্ষ ৩৭ হাজার ৮৩০ জন।
এদিকে, কেরলেই একদিনে এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ২৬৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৫৩ জনের। দেশে করোনা সংক্রমণ কমলেও বাড়ল অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা। দেশে এখন অ্যাক্টিভ কেস ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫৫৮ জন। দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫৫৮ জন।
বিশ্বে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৪ লক্ষ ৯২ হাজার ৮১৮ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২১ কোটি ৫৮ লক্ষ ৮২ হাজার ৮৭৫।
প্রসঙ্গত, চিন্তা বৃদ্ধি করেছে পাঁচ রাজ্যে৷ দেশের মোট সংক্রমণের ৭০ শতাংশ এই রাজ্যগুলি থেকেই আসছে৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে সেই পরিসংখ্যান থেকে এমনটাই জানা যাচ্ছে৷
কেরল, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ এই পাঁচ রাজ্যে থেকে ২.৩৯ লক্ষ আক্রান্তের সংখ্যা উঠে আসছে৷ এদের মধ্যে কেরলের পরিস্থিতি সবচেয়ে উদ্বেগজনক৷ অন্য সব রাজ্যেও পরিস্থিতি কম বেশি একই রকম।
জিনগত পরিব্যক্তির কারণে করোনাভাইরাস ক্রমশই মারণক্ষমতা হারাচ্ছে। এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্টের। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম।’’ আগামী দিনেও করোনাভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন ডেম। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এটি সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।’’ বৃহস্পতিবার ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় তাঁদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেছেন, ‘‘জিনের পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ ডেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে ‘নির্বিষ’ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেক...

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন