রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে সময় মতো তা পরীক্ষা করাও জরুরি। সব সময় বাইরে গিয়ে পরীক্ষা করা সম্ভব নয়। অনেকেই তাই অসুবিধে এড়াতে এখন বাড়িতেই রক্তচাপের পরীক্ষা করেন। কিন্তু রক্তচাপ মাপার ক্ষেত্রে এমন কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হয়, যেগুলির সম্পর্কে স্বচ্ছ্ব ধারণা না থাকায় বেশ কিছু ভুল হয়ে যায়।
কোন ভঙ্গিতে বসা উচিত?
একটি টেবিল সংলগ্ন চেয়ারে বসুন। চেয়ারের পিছনে হেলান দিন। হাত দুটো এমন ভাবে টেবিলের উপর রাখুন, যাতে হৃদযন্ত্রের সমতলে হাত দুটো থাকে। এবার রক্তচাপ মাপার কাফটি কনুই থেকে ২.৫ সেন্টিমিটার উপরে বাঁধুন। খুব আলগা বা খুব শক্ত কোনওটাই করবেন না। এবার কনুইয়ের উপর হাত দিয়ে ব্রাকিয়াল ধমনীর অবস্থান নির্ণয় করে স্টেথোস্কোপের ডায়াফ্রাম বসান। ডায়াফ্রাম কাপড়ের উপর রাখবেন না। খেয়াল রাখুন মিটারের স্কেলটি যেন হৃদযন্ত্রের সমতলে থাকে।
১) রক্তচাপ মাপছেন যে যন্ত্র তার কাফ সাইজটি আপনার উপযুক্ত কি না দেখা দরকার। কেনার সময় এটি খেয়াল রাখুন।
২) নিয়মিত রক্তচাপ মাপতে শুরু করার আগে যন্ত্রটি ঠিক পরিমাপ দেখাচ্ছে কি না বুঝতে একজন চিকিৎসকের সাহায্য নিন।
৩) দিনে দু’বার রক্তচাপ মাপুন। প্রথমবার সকালে উঠে রক্তচাপের ওষুধ খাওয়ার আগে। পরের বারটি সন্ধেবেলা। প্রতিদিনই এই নিয়ম মেনে চলুন।
৪) রক্তচাপ পরীক্ষা করার অন্তত আধঘণ্টা আগে থেকে খাবার, ধূমপান, অ্যালকোহল বা চা-কফি এড়িয়ে চলুন।
৫) রক্তচাপ মাপার সময় শান্ত হয়ে বসুন। বিশেষ করে রক্তচাপ মাপতে শুরু করার আগে মিনিটপাঁচেক চেয়ারে এমনি বসে নিন। তারপর রক্তচাপ মাপুন।
৬) জামা বা কাপড়ের উপর কাফটি রাখবেন না। ত্বকের উপর রাখুন।
৭) ৩ মিনিট না হলে একই হাতে আবারও রক্তচাপ মাপবেন না।
জিনগত পরিব্যক্তির কারণে করোনাভাইরাস ক্রমশই মারণক্ষমতা হারাচ্ছে। এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্টের। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম।’’ আগামী দিনেও করোনাভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন ডেম। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এটি সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।’’ বৃহস্পতিবার ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় তাঁদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেছেন, ‘‘জিনের পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ ডেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে ‘নির্বিষ’ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেক...


মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন