ডায়াবিটিস থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখাটা খুবই জরুরি। না হলে অচিরেই হৃদরোগ, স্নায়ুর অসুখ, পায়ের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে ভাল উপায় এর উপযোগী ডায়েট মেনে চলা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় খাওয়াদাওয়ার পরে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলে ‘আফটার মিল হাইপারগ্লাইসেমিয়া’। তবে খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
সারা দিনে কী খাচ্ছেন খেয়াল রাখুন
সকাল থেকে সারা দিন কী খাবার খাচ্ছেন সেটা খেয়াল রাখা জরুরি। যেমন মিষ্টি, সাদা পাঁউরুটি এই জাতীয় খাবার খুব কম খান, নাহলে খাওয়াদাওয়ার পর রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাবে। সকাল থেকে সারা দিন কী খাবার খাবেন তার যদি একটি পরিকল্পনা থাকে, তাহলে খাবার বাছতেও সুবিধে হবে। এ ছাড়া সেই খাবারগুলি ডায়াবিটিসের পক্ষে আদৌ উপকারি কি না, সেটাও ভেবে দেখার অবকাশ পাবেন।
বারে বারে খাবার খান
একবারে অনেকটা খাবার খাচ্ছেন? তা না খেয়ে বারে বারে অল্প অল্প করে খাবার খান। কারণ গবেষণা বলছে দিনে তিন বেলা ভারী খাবার খাওয়ার চেয়ে যদি বারে বারে অল্প করে খাবার খাওয়া যায়, তা হলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত খাবার খান
ডায়াবিটিস থাকলে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত খাবার খাওয়া দরকার। তাই খাবার আগে দেখে নিন কোন ধরনের খাবারে জিআই বা গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ ৫৫ শতাংশের কম। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
কার্বোহাইড্রেটসের পরিমাণ খেয়াল করুন
কার্বোহাইড্রেটসের বেশি মাত্রায় খাওয়া ডায়াবিটিসের রোগীদের একেবারেই উচিত নয়। তাই যখন খাচ্ছেন তো ‘লো-কার্ব’ বা স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেটস খাবার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া প্রতিদিন কতখানি কার্বোহাইড্রেটস খাচ্ছেন, সেই বিষয়েও একটু সতর্ক থাকুন। অতিরিক্ত প্রসেস করা কার্বোহাইড্রেটস খাবেন না।
জিনগত পরিব্যক্তির কারণে করোনাভাইরাস ক্রমশই মারণক্ষমতা হারাচ্ছে। এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্টের। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম।’’ আগামী দিনেও করোনাভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন ডেম। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এটি সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।’’ বৃহস্পতিবার ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় তাঁদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেছেন, ‘‘জিনের পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ ডেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে ‘নির্বিষ’ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেক...


মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন