জলের বোতল আমরা প্রত্যেক দিন পরিষ্কার করি না। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে জল রাখতে রাখতে বোতলে জলের দাগ হয়ে যায়, নোংরা জমে যায় এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে শ্যাওলাও পড়ে যায়। তাই মাঝে মাঝেই বোতলগুলি ভাল করে পরিষ্কার করা প্রয়োজন।
আগে প্লাস্টিকের বোতলে জল রাখার চল অনেক বেশি ছিল। কিন্তু মানুষ এখন একটু সচেতন হয়েছেন। প্লাস্টিকের বোতল দীর্ঘ দিন ব্যবহার করার ক্ষতিকর দিকগুলি তাঁদের অজানা নয়। স্টিল বা তামার বোতলে জল রাখার অভ্যাস করছেন এখন অনেকেই। তবে স্টিল বা তামার বোতলের দাম ভালই পড়ে। তাই বাজেট কম থাকলে ভাল কাচের বোতলেও জল রাখা যায়। পো়ড়ামাটির বোতলে জল রাখতে পারলে সবচেয়ে ভাল। কিন্তু এখন আর আগের মতো মাটির পাত্রে জল রাখার চল সে ভাবে নেই। তবে সব রকমের বোতল পরিষ্কার করার পদ্ধতি আলাদা।
কাঁচের বোতল হলে লেবু ঘষে কিছুক্ষণ রেখে দিতে পারেন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। লেবুর রস ব্যবহার করে খোসাগুলি ফেলবেন না। সেই খোসা জমিয়ে রেখে দিন। কাচের বোতল ধোয়ার আগে বোতলে ঘষে পরিষ্কার করে নিন। তবে এগুলি চওড়া মুখের পাত্র হলে তবেই সম্ভব। সাধারণ বোতল হলে ভিনিগার আর জলের মিশ্রণ বানিয়ে বোতলে ভরে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিতে পারেন। তারপর একটি বোতল পরিষ্কার করার ব্রাশ দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পরিষ্কার করে নিন। শেষে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
যাঁরা প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করেন তাঁদের বোতল পরিষ্কার করার একটি সহজ উপায় রয়েছে। খবরের
কাগজ ছোট ছোট টুকরো করে বোতলে ভরে রাখুন। তারপর সাবান জল ভরে ভাল করে ঝাঁকিয়ে নিন। তাতেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। এরপর কাগজের টুকরোগুলি ফেলে দিয়ে অনেকটা জল দিয়ে বোতল ধুয়ে ফেলুন।
তামার বোতল পরিষ্কার করা বেশি ঝামেলার। আবার তামায় জলের দাগ খুব সহজেই পড়ে যায়। তেঁতুল দিয়ে ঘষে ঘষে এই সবুজ-বাদামি দাগগুলি তুলতে হয়। তামার বোতল প্রায় প্রত্যেক দিন না ধুলে এই ধরনের দাগ ধরে যাবেই। তবে তামার পাত্রে সারা রাত জল রেখে, সকালে সেই জল খালি পেটে খাওয়ার উপকারিতা অনেক।
জিনগত পরিব্যক্তির কারণে করোনাভাইরাস ক্রমশই মারণক্ষমতা হারাচ্ছে। এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্টের। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম।’’ আগামী দিনেও করোনাভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন ডেম। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এটি সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।’’ বৃহস্পতিবার ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় তাঁদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেছেন, ‘‘জিনের পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ ডেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে ‘নির্বিষ’ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেক...

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন