অনেকের দিনই শুরু হয় না এক কাপ গরম গরম কফি না পেলে। তাতেই যেন দিনের কাজ শুরু করার শক্তি থেকে ইচ্ছা, সব পাওয়া যায়। কিন্তু কেন এমন হয়? তা নিয়েই হয়েছে গবেষণা। এক পেয়ালা গরম পানীয় কী প্রভাব ফেলে মস্তিষ্কের উপরে, জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা।
পর্তুগালের মিনহো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা একটি সমীক্ষা চালান। তাতে দেখা যায়, যারা দিনে ৩-৫ কাপ কফি খায়, তাদের কাজে মনোনিবেশ করতে সুবিধা হয়। স্মৃতিশক্তিও তাদের অন্যদের তুলনায় বেশি। যে কোনও নতুন কাজ অনেক সহজে ধরে ফেলতে পারে তারা।
মস্তিষ্কের সঙ্গে কফির সম্পর্ক বুঝতেই চালানো হয় এই সমীক্ষা। দু’টি দল তৈরি করা হয়। একদল রোজ বেশ কয়েক কাপ করে কফি খায়। অন্য দলটি কফি খায় না। সেই সমীক্ষায় গবেষকরা দেখতে পান, কফি নির্ভর দলের সদস্যদের নিজেদের ভাবনাচিন্তার উপরে নিয়ন্ত্রণ অনেক বেশি। কাজের মাঝে অন্য দিকে মন উড়ে যাওয়ার সমস্যা কম হয় তাদের। কফি খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তার কাজ শুরু হয়ে যায় বলেও লক্ষ্য করেছেন বিজ্ঞানীরা।
এর আগেও বিভিন্ন গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে যে, কফির প্রভাবে ডায়াবিটিসের আশঙ্কা কমে। তার জন্য কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকে অ্যালঝাইমার্স ডিজিজের আশঙ্কাও। পাশাপাশি, সকালের এক কাপ কফি বিরক্তিও কমায়।
জিনগত পরিব্যক্তির কারণে করোনাভাইরাস ক্রমশই মারণক্ষমতা হারাচ্ছে। এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্টের। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম।’’ আগামী দিনেও করোনাভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন ডেম। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এটি সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।’’ বৃহস্পতিবার ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় তাঁদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেছেন, ‘‘জিনের পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ ডেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে ‘নির্বিষ’ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেক...


মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন