পড়ুয়াদের থেকে বাছাই ৫০০ জনকে নিয়োগ করা হবে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে। শনিবার এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কোন স্তরের পড়ুয়াদের এই সুযোগ মিলবে তা স্পষ্ট করেননি তিনি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে ভার্চুয়াল সমাবেশে সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন তিনি। মমতা জানিয়েছেন, আগামী দিনে সিএমও-তে ইন্টার্ন নেওয়া হবে। প্রতি বছর বাছাই ৫০০ জন পড়ুয়াকে নিয়োগ করা হবে। মূলত ফিল্ডে কাজ করবেন ওই ইন্টার্নরা। কাজ শেষে সকলকে দেওয়া হবে শংসাপত্র, যা ছাত্রদের ভবিষ্যত গড়তে কাজে লাগবে বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘‘আগামী দিনে ওই ছাত্রছাত্রীদের জীবনের পথে চলতে যাতে সুবিধা হয় তা মাথায় রেখেই এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার ভাবনা সরকারের।’’
মমতার কথা অনুযায়ী, রাজ্যের সব জেলা থেকেই ৫০০ জন ছাত্রছাত্রীকে ইন্টার্ন পদে নিয়োগের জন্য বাছা হবে। এক বছরের জন্য কাজের সুযোগ পাবেন তাঁরা। প্রতিবছর নতুন এক দল পড়ুয়াকে বেছে নেওয়া হবে। শনিবার মমতা বলেছেন, ‘‘সিএমও-তে প্রতিবছর ৫০০ ইন্টার্ন নেব। যাঁরা উন্নয়নের কাজ দেখবে। তাঁদের একটা শংসাপত্র দেব। তা চাকরিজীবনে কাজে লাগবে। ‘সিএমও-র ডেভলপমেন্ট ওয়ার্ক’ দেখার জন্য ফিল্ডে ফিল্ডে পাঠাব।’’
শনিবার করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে রাজ্যের স্কুল-কলেজ খোলা নিয়েও বার্তা দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেছেন, ‘‘ছাত্রছাত্রীদের বলব পড়াশুনো বন্ধ করবেন না। চালিয়ে যান। পুজোর পরে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার চেষ্টা করব। এই সুযোগে মাথা উঁচু করে দাঁড়ান। আপনাদের সময় কত সুযোগ। আমাদের সময় কিছু ছিল না। খাতা-পেন কিচ্ছু না। দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ট্যাব দিচ্ছি সেই কারণে।
টাকার জন্য পড়াশুনো হবে না তা কী কখনও হয় নাকি।’’
জিনগত পরিব্যক্তির কারণে করোনাভাইরাস ক্রমশই মারণক্ষমতা হারাচ্ছে। এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্টের। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম।’’ আগামী দিনেও করোনাভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন ডেম। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এটি সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।’’ বৃহস্পতিবার ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় তাঁদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেছেন, ‘‘জিনের পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ ডেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে ‘নির্বিষ’ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেক...

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন