আগামী মঙ্গলবার, ৩১ অগস্ট রাজ্যে যে পেট্রল পাম্প ধর্মঘট হওয়ার কথা, তাকে ঘিরে মতভেদ তৈরি হল পাম্প ডিলারদের মধ্যেই। ফলে ওই দিন ধর্মঘট হলেও, রাজ্যের প্রায় অর্ধেক পাম্প খোলা থাকছে।
বর্ষায় পেট্রলে ইথানল মিশ্রণ বন্ধ রাখা (যাতে ক্রেতাদের তরফে এই সময় তেলে জল মেশার অভিযোগ না-ওঠে), ‘ফ্লো মিটার’ (তেল বা গ্যাসের পরিমাণ মাপার যন্ত্র) মারফত তেল বণ্টন ও কমিশন বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘট ডেকেছে তিন রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থার ডিলারদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউবিপিডিএ)। কিন্তু অতিমারির আবহে এখনই এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিস্থিতি আসেনি বলে দাবি করে তাতে শামিল না-হওয়ার কথা জানিয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল ডিলার্স ফোরাম (আইডিএফ)। ফলে রাজ্যে প্রায় অর্ধেক পাম্পই সে দিন খোলা থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, খাদ্য ও ক্রেতা সুরক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং আইওসি-কেও তা জানিয়েছে তারা।
ধর্মঘট প্রসঙ্গে আইডিএফ-এর প্রেসিডেন্ট জন মুখোপাধ্যায়ের দাবি, সমস্যাগুলি দীর্ঘ দিনের। কিন্তু যত অসুবিধাই থাকুক না কেন, করোনার সময় পাম্প বন্ধ রেখে মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়ানোর পক্ষপাতী নন তাঁরা। বিশেষত যেখানে ইথানল নিয়ে সমস্যার সুরাহায় তেল সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে বাকি। তেল বণ্টনের সমস্যাও বহু বছরের। আইডিএফ-এর মতে, এক দিনের ধর্মঘট করে এ সবের সমাধান হবে না। বরং আলোচনার মাধ্যমে পথ খোঁজা জরুরি। তাই রাজ্যে ৩০০০টি পাম্পের মধ্যে আইওসি-র প্রায় ১৫০০টি পাম্প খোলাই থাকবে।
ডব্লিউবিপিডিএ-এর যুগ্ম সম্পাদক তথা আইওসি-রই ডিলার প্রসেনজিৎ সেনের অবশ্য পাল্টা দাবি, ডিলারদের প্রায় সকলেই ধর্মঘটের পক্ষে। তবে জরুরি প্রয়োজনে যাতে ক্রেতাকে তেল পেতে নাজেহাল হতে না-হয়, সে জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা থাকবে।
প্রসেনজিৎ বলছেন, ধর্মঘটের ডাক দেওয়ার পরেই আওসি-র মৌড়িগ্রাম ডিপো থেকে আপাতত ইথানল মিশ্রিত পেট্রলের জোগান বন্ধ রয়েছে। যদিও তেল সংস্থা সূত্রের খবর, ইথানলের জোগান অপ্রতুল হওয়ায় মাঝে-মধ্যে এমনিতেই তা বন্ধ থাকে। জুনের পরে বন্ধ হলদিয়ার ডিপো থেকে ইথানল মিশ্রিত পেট্রল সরবরাহও।
জিনগত পরিব্যক্তির কারণে করোনাভাইরাস ক্রমশই মারণক্ষমতা হারাচ্ছে। এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্টের। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম।’’ আগামী দিনেও করোনাভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন ডেম। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এটি সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।’’ বৃহস্পতিবার ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় তাঁদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেছেন, ‘‘জিনের পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ ডেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে ‘নির্বিষ’ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেক...

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন