কথায় বলে হাসিই হল সবচেয়ে ভাল ওষুধ। সে কথার সত্য-মিথ্যা যাচাই করা না হয় সময়ের সাপেক্ষ বিষয়। কিন্তু মনের ভাবের উপরে যে শরীরে সুস্থতা নির্ভর করে, তা জেনে রাখা জরুরি। মন ভাল থাকলে তা যে চেহারায় ফুটে ওঠে, সে কথা তো অস্বীকার করা চলে না।
তবে মনের অবস্থা ঠিক কতটা প্রভাব ফেলে ত্বকের উপরে? উত্তর শুনে অবাক হবেন অনেকেই। কারণ, মানসিক অবস্থার সামান্য বদলও ঠিক ফুটে ওঠে ত্বকে বলেই মত গবেষকদের। চিকিৎসকদের বক্তব্য, অতিরিক্ত নেচিবাচক চিন্তা মারাত্মক ভাবে প্রভাব ফেলে ত্বকের স্বাস্থ্যের উপরে। রাগ-ক্ষোভ-বিরক্তি মনে বাসা বাঁধলে কয়েক দিনেই বয়স্ক দেখায় ত্বক। কিন্তু সব সময়ে তো আর এক রকম থাকে না মনের অবস্থা। কী ভাবে তবে নিজের যত্ন নেওয়া যায়? তার আগে জানতে হবে, কী ধরনের প্রভাব ফেলে মনের অবস্থা।
মানসিক চাপ
মানসিক চাপ বেশি থাকলে ত্বকের বয়স বাড়ে খুব দ্রুত। মানসিক চাপের কারণে শরীরে বেশি কর্টিসল হর্মোন তৈরি হয়। তার প্রভাব গিয়ে পড়ে সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে। ত্বকে বলিরেখা পড়তে শুরু করে। অনেকের মুখে আবার ব্রণর সমস্যা বাড়ে।
রাগ
কথায় কথায় রাগ হয়ে যায় যাদের, তাদের ত্বকেও রীতিমতো প্রভাব পড়ে। রাগের জেরে মুখের পেশিতে চাপ পড়ে। রাগ কমার পরেও সেই ছাপ থেকে যায়।
অবসাদ
এমন ক্ষেত্রে অনেক সময়ে চোখ-মুখ কুঁচকে যায় মানুষের। সেই ছাপ ত্বেকের উপরে পড়তে বাধ্য। তা ছাড়া, বেশি দিন অবসাদে ভুগলে মুখে ক্লান্তির ছাপও থাকে। সবে মিলে জেল্লা হারায় ত্বক।
কিন্তু এ সব তো রোজের বিষয়। তা নিয়েই চলতে হবে। ফলে মনের যত্ন যেমন জরুরি, তেমন খেয়াল রাখতে হবে ত্বকেরও। তার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ জল খাওয়া দরকার। রোজ অন্তত ৩-৪ লিটার জল খেতে হবে।
জিনগত পরিব্যক্তির কারণে করোনাভাইরাস ক্রমশই মারণক্ষমতা হারাচ্ছে। এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্টের। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম।’’ আগামী দিনেও করোনাভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন ডেম। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এটি সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।’’ বৃহস্পতিবার ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় তাঁদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেছেন, ‘‘জিনের পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ ডেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে ‘নির্বিষ’ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেক...

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন