বর্ষাকালে কাঁচা স্যালাড খেতে মানা করেন অনেক পুষ্টিবিদ। সব শাক-সব্জিই সামান্য ভাপিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু জানেন কি, সব খাবার রান্না করলেই জীবাণুমুক্ত হয়ে যায় না। বরং অনেক ক্ষেত্রে বিপদ বাড়ে ভালই। তবে এই খাবারগুলি একবার খেলেই অসুস্থ হয়ে পড়বেন না। বা সঙ্গে সঙ্গে বদহজম হয়ে বাথরুম দৌড়তেও হবে না। কিন্তু বহু দিন ধরে এই ধরনের খাবার খেলে শরীর বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই এখনই সাবধান হন।
মাইক্রোওয়েভে পপকর্ন
যে ‘রেডি টু ইট’ পপকর্নগুলি বাজারে পাওয়া যায়, তাতে পারফ্লুরুকট্যানিক অ্যাসিড থাকে অনেক পরিমাণে। মাইক্রোওয়েভে গরম করলে এই অ্যাসিড আরও ক্ষতিকর হয়ে উঠবে পারে। খুব বেশি পরিমাণে এই পদার্থ শরীরে গেলে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে।
পোড়া পাঁউরুটি
ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন’এর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা পোড়া পাঁউরুটি খাওয়া নিষেধ করে দিয়েছে। পুড়ে যাওয়ার পর পাঁউরুটিতে তৈরি হয় অ্যাক্রিলামাইড যা দীর্ঘ সময়ে ধরে শরীরে গেলে স্নায়ুর ক্ষতি হতে পারে। ক্যানাসারের সম্ভাবনাও বাড়ে। তবে এই জিনিস প্রযোজ্য পুড়ে যাওয়া মাংসের ক্ষেত্রেও।
হাই নাইট্রেট দেওয়া সব্জি
কিছু সব্জি যাতে বেশি পরিমাণে নাইট্রেট রয়েছে খুব বেশি রান্না না করাই ভাল। তবে যেহেতু কাঁচা সব্জি খাওয়াও কিছু অপকারিতা রয়েছে, এগুলি ভাপিয়ে খেতে পারেন। তবে বার বার গরম না করাই ভাল। কচি গাজর, সবুজ শাক সব্জি, বাঁধাকপি, বিটের মতো সব্জি এই তালিকায় পড়ে।
ডিম ছাড়া কুকি তৈরির ব্যাটার
ডিম ছাড়া ময়দার মণ্ডে স্যালমোনেলা বা ই-কলি তৈরি হতে পারে। তাই যতই খুঁজে পেতে ডিম ছাড়া কুকি বা কেকের রেসিপি খুঁজে বার করুন না কেন, কতটাশরীরের পক্ষে তা ভাল হবে, তাতে একটা সন্দেহ থেকে যায়। তবে ময়দা আর চিনি দিয়ে তৈরি কেক-কুকি এমনিও যত কম খাবেন তত নানা ধরনের রোগ দূরে থাকবে।
গলদা চিংড়ি
গলদা চিংড়ি জ্যান্ত কিনতেই পছন্দ করেন অনেকে। স্বাদ ভাল হওয়া ছাড়াও আরেকটি কারণ রয়েছে। চিংড়িতে প্রাকৃতিক ভাবে যে ব্যাকটিরিয়া থাকে তা মৃত্যুর পরই অনেকটা বেড়ে যায়। রান্না করার পরও অতটা ব্যাকটিরিয়া না-ও মরতে পারে। তাই চিংড়ি জ্যান্ত অবস্থায় বরফের উপর ১৫ মিনিট রেখে দেওয়া হয়। তারপর ফুটন্ত জলে দেওয়া হয়।
আলু
আলু রান্না করার পর অনেকক্ষণ বাইরে রেখে দিলে এবং ঠিক পদ্ধতিতে গরম না করলে তাতে শরীরে বটুলিজম নামে এক ধরনের ফুড পয়জনিং তৈরি করতে পারে। আলু অনেক দিন রাখলে কিছু অংশ সবুজ হয়ে যায়। সেগুলিও বাদ দিয়ে খাওয়া উচিত। নয়তো বমি ভাব, ক্লান্তি এবং মাথা ব্যথা হতে পারে এই সবুজ অংশ খেলে। তাই সাবধান হন।
জিনগত পরিব্যক্তির কারণে করোনাভাইরাস ক্রমশই মারণক্ষমতা হারাচ্ছে। এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্টের। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম।’’ আগামী দিনেও করোনাভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন ডেম। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এটি সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।’’ বৃহস্পতিবার ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় তাঁদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেছেন, ‘‘জিনের পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ ডেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে ‘নির্বিষ’ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেক...

Khubbb Sundar
উত্তরমুছুন