রোজ ৬-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। এমনই বলা হয়ে থাকে। কিন্তু কেন প্রয়োজন এত ঘুম? অনেকেরই মনে হয়, কম ঘুমোলে বরং কাজের সময় বাড়ে। আরও কত দিকে মন দেওয়া যায়। তে ঘুমিয়ে সময় নষ্ট করে লাভ কী?
প্রথমেই খেয়াল রাখা জরুরি যে, ঘুমনো মানেই সময় নষ্ট নয়। বরং অনেক কাজের জন্য শরীর-মনকে তৈরি করে ঘুম। কর্মশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। অবাক হতে পারেন, কিন্তু ঘুম নানা ভাবে উপকার করে শরীরের। সে কারণেই প্রতিদিনের ঘুমের একটি নিয়ম থাকা জরুরি।
ঘুম ভাল হলে তার প্রভাব কত দিক থেকে পড়ে শরীরের উপরে?
১) সবের আগে যে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে ভাল লাগবে, তা হল ওজন নিয়ন্ত্রণ। অনেকেই বলে থাকেন পড়ে পড়ে ঘুমিয়ে ওজন বাড়ছে। আসলে তার চেয়েও অনেক বেশি ওজন বাড়তে পারে না ঘুমিয়ে। স্থুলতার সমস্যার প্রধান কারণ হিসাবে কম ঘুমের প্রবণতাকেই চিহ্নিত করছেন চিকিৎসকরা।
২) ঘুম ভাল হলে মন স্থির থাকে। কাজে মনোযোগ বাড়ে। ফলে কাজ ভাল হয়। কম সময়ে অনেক কাজ করা যায়। ঘুম কম হলে পরিস্থিতি ঠিক উল্টে যায়।
৩) রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে কম ঘুমের কারণে। ঘুমের অভাবে হজমশক্তি কমে। তার ছাপ পড়ে শরীরে ইনস্যুলিনের প্রভাবের উপরেও। তার জেরই দেখা দেয় শর্করার মাত্রা ওঠা-নামার মাধ্যমে। ফলে ডায়াবিটিক রোগীদের জন্য ভাল ঘুম খুব জরুরি।
৪) কম ঘুম প্রতিরোধশক্তিও কমিয়ে দেয়। নিয়মিত ৮ ঘণ্টা ঘুম আবার তা বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে ক’দিন অন্তর ঠান্ডা লেগে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দিলে খেয়াল করতে হবে ঘুম কম হচ্ছে কিনা।
জিনগত পরিব্যক্তির কারণে করোনাভাইরাস ক্রমশই মারণক্ষমতা হারাচ্ছে। এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্টের। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম।’’ আগামী দিনেও করোনাভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন ডেম। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এটি সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।’’ বৃহস্পতিবার ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় তাঁদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেছেন, ‘‘জিনের পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ ডেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে ‘নির্বিষ’ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেক...

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন