জন্মাষ্টমী আসছে। বাঙালি-সহ গোটা দেশ জুড়েই উৎসবে মেতে উঠতে তৈরি হচ্ছেন সবাই। ভোজনরসিক বাঙালির কাছে জন্মাষ্টমীর একটা বড় অংশ হল তালের বড়া। কৃষ্ণের জন্মতিথিতে বাঙালির খাদ্যতালিকায় তালের বড়া তো আছেই। কিন্তু তা ছাড়াও আরও বিভিন্ন রকমের খাবার তৈরি হয় জন্মাষ্টমীতে। এর মধ্যে অন্যতম পঞ্চামৃত।
পুরাণ মতে, পঞ্চামৃত একটি পবিত্র পানীয়। নাম শুনেই বোঝা যায়, মূলত পাঁচটি উপকরণ দিয়ে এটি বানানো হয়। কথিত আছে, সমুদ্রমন্থনের সময়ে যা যা উঠে এসেছিল তার মধ্যে প্রথম দিকে ছিল পঞ্চামৃত। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, যে পাঁচটি উপকরণ দিয়ে পঞ্চামৃত তৈরি— দুধ, ঘি, মধু, চিনি আর দই— এই পাঁচটি উপকরণেরই কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে।
উত্সবের দিনটিতে জন্মাষ্টমীর স্বাদ পেতে সহজেই পঞ্চামৃত তৈরি করে নিন আপনার নিজের বাড়িতে।
উপকরণ:
• ১ কাপ দুধ
• ১/৪ কাপ দই
• ১ চামচ মধু
• ১ চামচ ঘি
• ১ চামচ চিনি
প্রণালী:
• একটি পাত্রে দুধ আর দই নিয়ে চামচ দিয়ে ভাল করে মেশান।
• এ বার মধু, ঘি, আর চিনি দিন সেই পাত্রে। সব কিছু এক সঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
• তুলসী পাতা দিয়ে গার্নিশ করে পরিবেশন করুন।
• (গোলাপ জল বা ড্রাই ফ্রুট দিতে পারেন বাড়তি স্বাদ পাওয়ার জন্য।)
বলা হয়, পঞ্চামৃতের স্বাস্থ্যগত গুণও আছে। মস্তিষ্কের গতি আরও দ্রুত করা, রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে পঞ্চামৃত কাজে লাগতে পারে। প্রচলিত মত অনুযায়ী, শরীরের ‘সপ্তধাতু’র উন্নতির জন্যও পঞ্চামৃত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
জিনগত পরিব্যক্তির কারণে করোনাভাইরাস ক্রমশই মারণক্ষমতা হারাচ্ছে। এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্টের। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম।’’ আগামী দিনেও করোনাভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন ডেম। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এটি সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।’’ বৃহস্পতিবার ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় তাঁদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেছেন, ‘‘জিনের পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ ডেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে ‘নির্বিষ’ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেক...


মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন