ভবানীপুর উপনির্বাচন (Bhabanipur By Poll) নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) চরম ভর্ৎসনার মুখে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। বৃহস্পতিবারই নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে হাইকোর্ট বলেছিল, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা একটি উপনির্বাচনে কীভাবে তৈরি হল, তা জানিয়ে হলফনামা জমা দিক নির্বাচন কমিশন। আর এদিন সেই হলফনামা জমা দিতেই হাইকোর্ট চরম ক্ষোভ প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপকে ঘিরে। ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে আদালত এদিন প্রশ্ন করে, 'একটি আসনের জন্যই সংবিধান আর আইনের বাধ্যবাধকতা? মুখ্যসচিব কীভাবে লেখেন সাংবিধানিক সংকটের কথা? মুখ্যসচিবের চিঠির ভিত্তিতে কীভাবে পদক্ষেপ নিতে পারে নির্বাচন কমিশন?'
শুধু তাই নয়, নির্দিষ্টভাবে ভবানীপুরের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের ডিভিশন বেঞ্চ ক্ষোভের সঙ্গে বলে, 'একটি আসনের জন্যই সংবিধান আর আইনের বাধ্যবাধকতা? একজন নির্বাচনে জিতে পদত্যাগ করবেন, তাঁর জায়গায় আরেকজন ভোটে দাঁড়াবেন!' শুধু তাই নয়, এদিন নির্বাচন কমিশনের কাছে হাইকোর্ট প্রশ্ন করে, 'একটি উপনির্বাচন করতে কত টাকা খরচ হয়?' সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত ছিলেন না কমিশনের আইনজীবী। তখন মামলাকারীর আইনজীবীরা জানান, কোটি কোটি টাকা খরচ হয়। সেই প্রসঙ্গ তুলেও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, 'সেই উপনির্বাচনের জন্য জনগণের করের টাকা কেন খরচ করা হবে? আদালতকে কেন উত্তর দিতে পারছে না নির্বাচন কমিশন? সেই সূত্রেই আদালত জানায়, এই উপনির্বাচনের খরচ কোনওভাবেই অন্য পন্থায় ব্যবস্থা করা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তবে, এদিন কোনও রায় দেয়নি আদালত।
প্রসঙ্গত, ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে যে বিবৃতি জারি করেছিল, তার ৬ ও ৭ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছিল, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বর্তমানে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। পশ্চিমবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতিও ভোট হতে চলা আসনগুলিতে কোনও প্রভাব ফেলবে না। ভারতীয় সংবিধানের ১৬৪ (৪) ধারায় একজন মন্ত্রী যদি বিধানসভার সদস্য না হন, তা হলে ভোটের ফল প্রকাশের ৬ মাস পর তাঁর মন্ত্রী পদ চলে যায়। আর সেই পদে সর্বোচ্চ পদাধিকারী নিয়োগ না হলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে।’
আরও পড়ুন: 'যে দিন মনে হবে, দরজা খুলে দেব', অভিষেকের হুঁশিয়ারিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে BJP!
ভবানীপুরের উপনির্বাচন নিয়ে যে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল, সেই মামলার মামলাকারী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য আদালতের কাছে আর্জি করেছেন, নির্বাচন বন্ধ করতে হবে, এমন কোনও দাবি তাঁর নেই। কিন্তু ভবানীপুরে উপনির্বাচন না হলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে বলে রাজ্যের মুখ্যসচিবের সুপারিশের উল্লেখ নির্বাচন কমিশনকে তার প্রেস বিবৃতি থেকে বাদ দেওয়া হোক। সেই সূত্রেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই হলফনামা জমা দেওয়ার পরই আদালতের চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল নির্বাচন কমিশনকে।
জিনগত পরিব্যক্তির কারণে করোনাভাইরাস ক্রমশই মারণক্ষমতা হারাচ্ছে। এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্টের। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম।’’ আগামী দিনেও করোনাভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন ডেম। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এটি সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।’’ বৃহস্পতিবার ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় তাঁদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেছেন, ‘‘জিনের পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ ডেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে ‘নির্বিষ’ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেক...

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন