পর পর পাঁচ দিন ৩০ হাজারের বেশি হল দেশের দৈনিক কোভিড সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ২৫৬ জন। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ৩ কোটি ৩৪ লক্ষ ৭৮ হাজার ৪১৯। তবে দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে হয়েছে ২.৫৭ শতাংশ।
দৈনিক মৃত্যু সোমবার ৩০০-র নীচে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন কোভিডে। গোটা অতিমারি পর্বে মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৪৫ হাজার ১৩৩ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সক্রিয় রোগী কমেছে ১৪ হাজারের কাছাকাছি। দেশে এখন সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৩ লক্ষ ১৮ হাজার ১৮১ জন। এর মধ্যে দেড় লক্ষাধিক কেরলে। মহারাষ্ট্রে সাড়ে ৪৬ হাজার। মিজোরাম, কর্নাটক, তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশে ১৫ হাজারের আশপাশে। বাকি সব রাজ্যেই তা ১০ হাজারের নীচে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের নীচে নেমেছে। মহারাষ্ট্রে তা সাড়ে তিন হাজারের কম।
জিনগত পরিব্যক্তির কারণে করোনাভাইরাস ক্রমশই মারণক্ষমতা হারাচ্ছে। এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্টের। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম।’’ আগামী দিনেও করোনাভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন ডেম। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এটি সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।’’ বৃহস্পতিবার ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় তাঁদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেছেন, ‘‘জিনের পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ ডেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে ‘নির্বিষ’ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেক...

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন