চিরুনি দিয়ে আঁচড়াতে গিয়ে দেখলেন প্রচুর চুল উঠছে। চিন্তা হওয়া স্বাভাবিক। সাধারণত যত্ন না নিলে চুল পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। কিন্তু হয়তো আপনি নিয়মিত চুলে তেল, শ্যাম্পু, কন্ডিশনিং সবই করেন। তাও কেন চুল পড়ছে? বিশেষ কোনও অসুখ হলে বিষয়টি আলাদা। নাহলে চোখ রাখুন খাবারের দিকে। কিছু ধরনের খাবার খেলে চুল পড়ার মাত্রা বেড়ে যায়।
চিনি
প্রচুর চিনি বা মিষ্টিজাতীয় পদার্থ খান কি? তাহলে কিন্তু এটিই হতে পারে আপনার চুল পড়ার কারণ। অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার কারণে টাকও হয়ে যেতে পারে। তাই মিষ্টি ভালবাসলেও পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে খান।
ময়দা
বাড়িতে লুচি-পরোটা হামেশাই খাচ্ছেন? ময়দা দিয়ে তৈরি এই লুচি বা পরোটাই কিন্তু আপনার চুলের ক্ষতি করছে। কারণ, এতে থাকা গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বা জিআই-এর পরিমাণ হরমোনের সমতা নষ্ট করে। ফলে তা থেকে চুল উঠে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। কেবল ময়দা নয়, একই কারণে খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে পাঁউরুটিও।
মদ
তরল পানীয়তে চুমুক দেওয়ার সময়ে ভাবছেন কি তা থেকে চুলের এত বড় ক্ষতি হতে পারে? গবেষণা কিন্তু সেই রকমই বলছে। অতিরিক্ত মদ্যপান করলে হেয়ার ফলিকল নষ্ট হয়। কিন্তু পরিমিত মদ্যপানেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় চুল। অ্যালকোহল চুলের স্বাভাবিক প্রোটিন কেরাটিনকে নষ্ট করে চুলকে দুর্বল করে দেয়।
ভাজাভুজি
ভাজাভুজি খেতে ভালবাসে না এমন লোক পাওয়া সত্যিই মুশকিল! কিন্তু এ ধরনেরখাবার খেলে হৃদ্রোগের আশঙ্কা ও ওজন বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যাও দেখা দেয়। ভাজাভুজি খেলে মাথার ত্বক বেশি তৈলাক্ত হয়ে যায় এবং মাথার ত্বকের ছিদ্রগুলিও বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
জিনগত পরিব্যক্তির কারণে করোনাভাইরাস ক্রমশই মারণক্ষমতা হারাচ্ছে। এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্টের। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম।’’ আগামী দিনেও করোনাভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন ডেম। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এটি সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।’’ বৃহস্পতিবার ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় তাঁদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেছেন, ‘‘জিনের পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ ডেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে ‘নির্বিষ’ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেক...



মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন