বাড়ির সব চেয়ে খুদে সদস্যটির মুখে মধু তো দিচ্ছেন, কিন্তু সেই মধু খাঁটি না কি নকল— সে বিষয়ে ধারণা আছে কি? বহু নামী কোম্পানির মধুতেও প্রচুর ভেজাল থাকে। এ কথা বার বার বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে। তা হলে খাঁটি মধু চিনবেন কী করে?
কয়েকটি সাধারণ পদ্ধতিতেই বোঝা যায়, মধু খাঁটি না কি ভেজাল মেশানো। রইল সেই তালিকা।
• মধু খাঁটি কি না, তা বোঝার সব চেয়ে সহজ রাস্তা জলে মেশানো। এক গ্লাস জলে এক চামচ মধু দিন। তার পরে গ্লাসটি আস্তে আস্তে নাড়ান। মধু যদি জলের সঙ্গে তাড়াতাড়ি মিশে যায়, তা হলে সেটি নকল। আর মধু যদি ছোট গোলকার পিণ্ডের মতো হয়ে জলে আস্তে আস্তে মিশতে থাকে, তা হলে সেটি খাঁটি।
• জলের গ্লাসে এক ফোঁটা মধু দিন। সেটি কি জলের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে? না কি ছোট পিণ্ডের আকারে তলায় চলে যাচ্ছে? মিশে গেলে নকল মধু। আর পিণ্ডের আকারে তলায় চলে গেলে খাঁটি মধু।
• মধু আঙুলে লাগান। খুব চটচটে কি? মধু যত খাঁটি, তত চটচটে।
• শিশির তলায় মধু কি জমাট বাঁধছে? তা হলে এটি নকল মধু।
• মধুতে কি পিপড়ে ধরছে? তা হলেও বুঝতে হবে এটি ভেজাল মেশানো। কারণ পুরোপুরি খাঁটি মধুতে পিপড়ে ধরে না।
• মধু নকল কি না তা বোঝার আরও এক সহজ রাস্তা, এতে ফেনা হচ্ছে কি না দেখা। ফেনা হলে এটি ভেজাল মেশানো।
জিনগত পরিব্যক্তির কারণে করোনাভাইরাস ক্রমশই মারণক্ষমতা হারাচ্ছে। এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্টের। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম।’’ আগামী দিনেও করোনাভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন ডেম। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এটি সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।’’ বৃহস্পতিবার ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় তাঁদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেছেন, ‘‘জিনের পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ ডেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে ‘নির্বিষ’ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেক...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন