ছোটবেলা থেকেই অনেককে শেখানো হয়, খাবার খাওয়ার মাঝে জল না খেতে। খাবার খেতে খেতে জল খেলে না কি খাবার ঠিক করে হজম হয় না। কারণ হজমের জন্য পাকস্থলিতে অ্যাসিড তৈরি হয়। জল এই অ্যাসিডের ঘনত্ব কমিয়ে দেয়। ফলে খাবার হজমে সমস্যা হয়।
যদিও এই মত কতটা ঠিক, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে চিকিৎসকদের মধ্যে। অনেকেরই বক্তব্য, জল পেটের পিএইচ মাত্রায় কোনও বদল ঘটায় না। ফলে খাবার খাওয়ার মাঝে জল খেলে হজমের সমস্যা হয় না। যদিও এর বিরুদ্ধ মতও আছে।
কিন্তু এ সব বাদ দিয়ে, খাবার খাওয়ার মাঝে জল খাওয়ার কিছু গুণও আছে। দেখে নেওয়া যাক।
• খাবার খেতে খেতে জল খেলে খাদ্যনালীর ভিতরটি পিচ্ছিল হয়ে যায়। তাতে গ্যাসের সমস্যা কমে।
• খাবার খাওয়ার সময়ে জল খেলে টক্সিন বা অন্য দূষিত পদার্থ শরীর থেকে সহজে বেরিয়ে যায়। শরীর দূষণ মুক্ত হয়।
• তবে খাওয়ার সময়ে জল খাওয়ার সব চেয়ে বড় সুবিধা হল, এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে।
• খাবার খাওয়ার সময়ে জল খেলে পেট ভর্তি হয়ে যায়। ফলে বেশি খাবার খাওয়ার ইচ্ছা চলে যায়। তাতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
জিনগত পরিব্যক্তির কারণে করোনাভাইরাস ক্রমশই মারণক্ষমতা হারাচ্ছে। এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্টের। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম।’’ আগামী দিনেও করোনাভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন ডেম। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এটি সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।’’ বৃহস্পতিবার ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় তাঁদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেছেন, ‘‘জিনের পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ ডেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে ‘নির্বিষ’ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেক...


মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন