ডায়াবিটিসের সমস্যা প্রাপ্তবয়স্কদের থেকেও বেশি দেখা যাচ্ছে শিশুদের মধ্যে। চিকিৎসকদের বক্তব্য, দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় কিছু ভুলের কারণেই মূলত এমন সমস্যা হচ্ছে। জীবনধারায় কিছু বদল এলে তবেই সম্ভব সেই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা।
বহু শিশুকেই ছোট থেকে স্থূলতার সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। তার সঙ্গেই রয়েছে শরীরচর্চার অভাব। বহু শিশুরই এখন খেলার অভ্যাস নেই। তার জেরেই অসুস্থতা বাড়ছে।
মাঝেমাঝেই গলা শুকিয়ে যাওয়া এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি ডায়াবিটিসের লক্ষণ। ঘন ঘন মুত্রত্যাগও করতে হয় ডায়াবিটিস হলে। কম সময়ে অনেকটা ওজন কমলেও সতর্ক হতে হবে।
শিশুকে ডায়াবিটিসের প্রকোপ থেকে কী ভাবে বাঁচানো সম্ভব?
১) খাওয়াদাওয়ার অভ্যাসে বিশেষ নজর দিতে হবে। অতিরিক্ত ভাজাভুজি এবং পিৎজা-বার্গারের মতো খাবার যাতে না খায়, সে দিকে নজর দিন।
২) বেশি মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ারও বিপদ আছে। চিনি খাওয়া যত কমানো যায়, শরীরের জন্য ততই ভাল।
৩) নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস করানো জরুরি।
৪) শরীর যাতে শুকিয়ে না যায়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাই নিয়ম করে জল খাওয়ান শিশুকে।
৫) কখনওই প্রয়োজনের চেয়ে যেন বেশি খাবার না খায় শিশু। সে দিকে বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হবে।
৬) এক জায়গায় বেশি ক্ষণ বসে থাকাও শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
জিনগত পরিব্যক্তির কারণে করোনাভাইরাস ক্রমশই মারণক্ষমতা হারাচ্ছে। এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্টের। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম।’’ আগামী দিনেও করোনাভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন ডেম। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এটি সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।’’ বৃহস্পতিবার ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় তাঁদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেছেন, ‘‘জিনের পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ ডেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে ‘নির্বিষ’ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেক...

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন