খাবার দেখে খিদে পায়, এই কথাটি নেহাত মিথ্যে নয়। কিন্তু সব সময়ে উল্টোপাল্টা খাওয়া কি ঠিক? শাক-সব্জি একেবারেই তেমন মুখে রোচে না, এ দিকে ডিপ ফ্রায়েড খাবার দেখলে লোভ সামলাতে পারেন না! শরীর সুস্থ রাখতে কিন্তু সুষম খাবার খাওয়া জরুরি। কিন্তু ভাজাভুজি, প্রসেসড খাবারের প্রতিই অধিকাংশের ঝোঁক বেশি। ফল ক্যানসার। হ্যাঁ, বেশ কয়েকটি খাবারের অভ্যাসই জীবনে ঘটাতে পারে ছন্দোপতন। ডেকে আনতে পারে ক্যানসারের মতো মারণ রোগ। তাই সময় থাকতে খাবারের তালিকা থেকে এই সব বাদ দিন!
কোন কোন খাবার খাবেন না?
প্রসেসড মিট
ঠিক ভাবে রান্না করা হলে মাংস, মাছ এবং ডিম শরীরের জন্য ভীষণই উপকারী। কিন্তু বিশেষ করে মাংস যখন প্রসেস করে রাখা হয়, তা একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। কারণ প্রসেস করা মাংসে কার্সিনোজেনিক পদার্থ থাকতে পারে। ফলে এই মাংস খেলে পেটে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। কাজেই সসেজ জাতীয় খাবার কম খাওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।
ভাজাভুজি
অতিরিক্ত ভাজাভুজি খেলেও শরীরে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিশেষ করে আলু বা মাংসকে যখন বেশি তাপমাত্রায় ডুবো তেলে ভাজা হয়, তখন অ্যাক্রিলামাইড নামে একটি তৈরি হয়। এই যৌগটিতে কার্সিনোজেনিক উপাদান রয়েছে। এমনকি এটি দেহের ডিএনএর-ও ক্ষতি করতে পারে।
পরিশোধিত খাবার
প্রায়শই সাদা তেলে ভেজে ময়দার লুচি খাচ্ছেন? ময়দা ও সাদা তেল দুটিই পরিশোধিত হওয়ায়, তা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। বিশেষ করে এই ধরনের খাবার খেলে স্তন ক্যানসার ও ডিম্বাশয়ে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই যতটা সম্ভব এই ধরনের খাবার খাওয়া কমান।
প্যাকেটজাত খাবার
অফিসে বেরোতে দেরি হয়ে যাবে বলে তাড়াহুড়োয় ইনস্ট্যান্ট নুডলস বানিয়ে নিলেন? সময় বাঁচানোর জন্য এই রকম চটজলদি খাবারে ছেয়ে গিয়েছে বাজার। চটজলদি ইডলি, উপমা, পাস্তা সবই এ ভাবে বানানো সম্ভব। এই ধরনের প্যাকেটজাত খাবারে বিসফেনল নামে এক ধরনের রাসায়নিক থাকে। ফলে নিয়মিত এই খাবার খেলে ক্যানসার হতে পারে।
জিনগত পরিব্যক্তির কারণে করোনাভাইরাস ক্রমশই মারণক্ষমতা হারাচ্ছে। এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্টের। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম।’’ আগামী দিনেও করোনাভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন ডেম। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এটি সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।’’ বৃহস্পতিবার ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় তাঁদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেছেন, ‘‘জিনের পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ ডেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে ‘নির্বিষ’ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেক...

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন