সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই ফোনটা দেখলেন। তারপর সেই হাতে চোখ কচলে নিয়ে বিছানা থেকে নামলেন। বাথরুমের কাজ সারতে সারতেও হাতে মুঠোফোনে দিনের খবর পড়া। তারপর জলখাবার খাওয়ার সময়েও এক হাতে নেটমাধ্যমে ঘোরাফেরা। সকাল থেকে কত জায়গায় ফোনটা রাখলেন এবং তারপর ফোন ধরে সেই হাতে চোখে মুখে দিলেন, তার কোনও হিসাব আছে কি? বেশির ভাগ মানুষেরই থাকে না। তাঁরা ভুলে যান যে এই মুঠোফোন থেকে জাবীণু ছড়ানোর কতটা সহজ। শুধু করোনাভাইরাস নয়, যে কোনও ধরনের ব্যাকটিরিয়া বা ভাইরাস ছড়াচ্ছে এই মুঠোফোন থেকেই। অনেকের মুখে ব্রণর মূল কারণও মুঠোফোনের পরদায় জমে থাকা নোংরা।
তাই নিয়মিত ফোন পরিষ্কার করা অত্যন্ত জরুরি। তবে নিয়মিত মানে কত ঘন ঘন? সেটা জানা প্রয়োজন।
যদি আপনি বাড়িতেই থাকেন, তা হলে সপ্তাহs এক থেকে দু’বার পরিষ্কার করুন। কিন্তু আপনি যদি নিয়মিত রাস্তায় বেরোন, তা হলে আপনার দু’দিন অন্তর পরিষ্কার করতে হবে। অফিসের গিয়ে ফোন কোথায় রাখছেন, সাধারণ শৌচালয় ব্যবহার করার সময়ে ফোন কোথায় রাখলেন, দোকানে গিয়ে কিছু জিনিস কেনার সময়ে ফোন কোথাও নামিয়ে রাখলেন কি না— এগুলি অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়ে। তেমন কিছু ঘটলে অবশ্যই সে দিন বাড়ি ফিরে ফোন পরিষ্কার করুন।
কী করে করবেন?
১। প্রথমে ঈষদুষ্ণ গরম জলে সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধুয়ে নিন।
২। তারপর শুকনো নরম কাপড় দিয়ে ফোনের আলগা ময়লা মুছে ফেলুন।
৩। ফোন বন্ধ করে নিন।
৪। ৭০ শতাংশ অ্যালকোহল রয়েছে, এমন কোনও তরলে নরম কাপড় বা তুলো ভিজিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করুন। অ্যালকোহল দেওয়া পরিষ্কার করার ওয়াইপও ব্যবহার করতে পারেন।
৫। হয়ে গেলে ফের নরম কাপড়ে মুছে নিন।
মুঠোফোন পরিষ্কার করার সময় যে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে
১। অ্যালকোহলের পরিমাণ যেন ৭০ শতাংশের কম না হয়। তাতে জীবাণু মরবে না। ১০০ শতাংশও যেন না হয়, তা হলে ফোনের ক্ষতি হতে পারে।
২। কোনও তরলে ফোন ডুবিয়ে ফেলবেন না।
৩। ফোনের কোনও পোর্টে কোনও তরল যেন না ঢুকে যায়।
৪। শুকনো টিস্যু পেপার ঘষবেন না, পরদায় দাগ হয়ে যেতে পারে।
৫। ব্লিচিং এজেন্ট ব্যবহার করবেন না।
জিনগত পরিব্যক্তির কারণে করোনাভাইরাস ক্রমশই মারণক্ষমতা হারাচ্ছে। এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্টের। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম।’’ আগামী দিনেও করোনাভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন ডেম। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এটি সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।’’ বৃহস্পতিবার ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় তাঁদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেছেন, ‘‘জিনের পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ ডেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে ‘নির্বিষ’ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেক...

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন