রোজ সকালে খালি পেটে একটুকরো আমলকি। ব্যস, তাতেই নীরোগ হবে শরীর। শতাব্দীপ্রাচীন এই আয়ুর্বেদিক টোটকার গুণ অনেক! সর্দি-কাশি তো দূরে থাকেই, এমনকি ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণের হাত থেকেও বাঁচায় আমলকি। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায়, এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
কী কী উপকারে লাগে আমলকি?
১) কম বয়সে চোখে ছানির সমস্যা দেখা দিলে ভরসা রাখুন আমলকিতে। ১ চামচ মধু আর আমলকির গুঁড়ো মিশিয়ে খান। ভাল থাকবে দৃষ্টিশক্তি।
২) হঠাৎ করেই বমি পাচ্ছে? হাতের কাছে আমলকি থাকলেই মিলবে উপকার। আমলকি রস করে একটু মিছরি মিশিয়ে বারতিনেক খান। বমিভাব কমবে।
৩) মুখের ভিতরে ঘা হয়েছে? এই সমস্যার হাত থেকেও বাঁচাবে আমলকি। গরম জলে ২ টেবিল চামচ আমলকির রস মিশিয়ে গার্গল করুন।
৪) জানেন কি আমলকি খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকে কোলেস্টেরল? এমনকি হাঁপানির সমস্যা কমাতেও দারুণ উপকারী এটি।
৫) আমলকি লিভার পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে। কারণ এটি খেলে শরীর থেকে সমস্ত দূষিত পদার্থ বাইরে চলে যায়।
৬) মাথার চুল নিষ্প্রাণ হয়ে গিয়েছে? আমলকি খেলে উপকার পাবেন। আমলকিতে থাকা প্রোটিন ও অ্যামাইনো অ্যাসিড চুল পড়া কমায় ও চুলের গোড়া শক্ত করে।
কী ভাবে খাবেন?
সকালে খালি পেটে আমলকির রস খেতে পারেন। তবে রসের পরিমাণ ১০ মিলিগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়। আবার আমলকি রোদে শুকিয়েও খেতে পারেন। আমলকি ছোট টুকরো করে কেটে তার উপর নুন ও গোলমরিচগুঁড়ো ছড়িয়ে রোদে শুকোতে দিন। শুকিয়ে গেলে কাচের বয়ামে ভরে রাখুন।
জিনগত পরিব্যক্তির কারণে করোনাভাইরাস ক্রমশই মারণক্ষমতা হারাচ্ছে। এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্টের। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম।’’ আগামী দিনেও করোনাভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন ডেম। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এটি সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।’’ বৃহস্পতিবার ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় তাঁদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেছেন, ‘‘জিনের পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ ডেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে ‘নির্বিষ’ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেক...


মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন