কোভিডের আতঙ্ক এখনও রয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেই এসে পড়েছে পুজো। পুজোর সময়ের আনন্দ যেন বিপদের কারণ না হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে যাঁরা হালে কোভিড সংক্রমণ থেকে সেরে উঠেছেন, তাঁদের ভয় এই সময়ে বেশি।
সদ্য কোভিড থেকে সেরে উঠে থাকলে মণ্ডপের ধোঁয়া থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কোভিডে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে ফুসফুসে। এই সময়ে মণ্ডপের ভিতরে বেশি ক্ষণ কাটালে ধূপ বা ধুনোর ধোঁয়া দুর্বল ফুসফুসে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। সে কারণেই কোভিড থেকে সেরে ওঠা সকলকেই বেশি ক্ষণ ধোঁয়ায় না থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
অনেকেই মনে করেন, বাজির ধোঁয়াই শুধু ক্ষতিকর। কিন্তু ধূপ বা ধুনোর ধোঁয়াও একই রকম ক্ষতিকারক। এগুলিও ফুসফুসে একই রকম প্রভাব ফেলে। যাঁরা সদ্য কোভিড থেকে সেরে উঠেছেন, এই ধরনের পরিবেশে কিছু ক্ষণ কাটালেই তাঁদের শ্বাসকষ্ট ফিরে আসতে পারে। শুধু তাঁরাই নন, শিশুদেরও এই ধোঁয়া থেকে দূরে রাখতে বলছেন চিকিৎসকরা। কারণ তাঁদের ফুসফুসেরও ক্ষতি হতে পারে এই ধোঁয়ায় থাকলে।
জিনগত পরিব্যক্তির কারণে করোনাভাইরাস ক্রমশই মারণক্ষমতা হারাচ্ছে। এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্টের। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম।’’ আগামী দিনেও করোনাভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন ডেম। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এটি সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।’’ বৃহস্পতিবার ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় তাঁদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেছেন, ‘‘জিনের পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ ডেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে ‘নির্বিষ’ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেক...

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন