সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Indian Railways: লোকাল ট্রেনের টিকিট কাটায় নতুন সুবিধা, যাত্রীদের বাড়তি সুযোগ দিতে চাইছে রেলমন্ত্রী, জেনে নিন....

লোকাল ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য এখন অনেকেই কাউন্টারের লাইনে দাঁড়ান না। ব্যাবহার করেন মোবাইল অ্যাপ। ট্রেনের অংসরক্ষিত টিকিট কাটার ইউটিএস (আনরিজার্ভড টিকেটিং সিস্টেম) অ্যাপটি ব্যবহার করেন। এত দিন এই অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট কাটতে একমাত্র ভরসা ছিল ইংরেজি ভাষা। এখন সেটা হিন্দিতেও সম্ভব। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী দিনে বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় টিকিট কাটার সুযোগ করে দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আপাতত হিন্দি দিয়ে ভারতীয় ভাষা ব্যবহারের যাত্রা শুরু করল রেল। এত দিন শুধুমাত্র ইংরেজি ভাষাতেই এই অ্যাপ ব্যবহারের সুযোগ থাকায় অনেকেই তা এড়িয়ে যেতেন। রেল মনে করছে, এ বার আরও অনেক যাত্রী ইউটিএস অ্যাপ ব্যবহারে আগ্রহী হবেন। এই অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট কাটলে শর্তসাপেক্ষে কিছুটা আর্থিক সুবিধাও পান যাত্রীরা। সেই সব সুবিধাও পাবেন যাঁরা হিন্দি ভাষা ব্যবহারে বেশি স্বচ্ছন্দ। করোনা পরিস্থিতিতে রেল চাইছে বেশি করে মানুষ ইউটিএস অ্যাপ ব্যবহার করুন। রেলের দাবি, ইতিমধ্যেই প্রায় দেড় কোটি যাত্রী নিজেদের মোবাইল ফোনে এই অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন। করোনাকালে এই অ্যাপ ব্যবহারে মানুষকে উৎসাহিত করার পিছনে রেল তিনটি বিষয়ের উপরে জোর দিচ্ছে। প্রথমত এই পদ্ধতিতে যাত্রীকে নগদ টাকায় টিকিট কাটতে হয় না, দ্বিতীয়ত টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়ানোর ঝুঁকি নিতে হয় না, তৃতীয়ত যাত্রীরা নিজেদের সুবিধা মতো বাড়ি থেকে বা স্টেশনে আসার পথেও টিকিট কেটে নিতে পারেন। এর ফলে শেষ মুহূর্তে স্টেশনে পৌঁছে ট্রেন ধরার সমস্যা কমবে। প্রসঙ্গত এই অ্যাপের মাধ্যমে সাধারণ টিকিটের পাশাপাশি প্লাটফর্ম টিকিট এবং সিজন টিকিট (মান্থলি বা কোয়ার্টারলি) কাটা বা রিনিউ করা যাবে। এই অ্যাপ ব্যবহার করলে কাগজের টিকিট দরকার নেই। ট্রেনে টিকিট পরীক্ষককে অ্যাপে কাটা টিকিট দেখালেই কাজ হয়ে যায়। যদি সেই সময়ে ইন্টারনেট বন্ধ থাকে তবেও টিকিট দেখানো যায়। যে কোনও রকম ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড, নেট ব্যাঙ্কিং, ইউপিআই, ই-ওয়ালেট এবং রেল ওয়ালেট ব্যবহার করে নগদ লেনদেন ছাড়াই টিকিট কাটা যায়। রেল ওয়ালেট ব্যবহার করলে ৫ শতাংশ বাড়তি আর্থিক সুবিধাও মেলে। অর্থাৎ, এক হাজার টিকিট কাটলে টিকিট কাটা যাবে ১ হাজার ৫০ টাকার।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

COVID-19: মারণক্ষমতা হারাচ্ছে করোনাভাইরাস, দাবি অক্সফোর্ড। জেনে নিন....

জিনগত পরিব্যক্তির কারণে করোনাভাইরাস ক্রমশই মারণক্ষমতা হারাচ্ছে। এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্টের। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম।’’ আগামী দিনেও করোনাভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন ডেম। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এটি সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।’’ বৃহস্পতিবার ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় তাঁদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেছেন, ‘‘জিনের পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ ডেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে ‘নির্বিষ’ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেক...

চলো একটু ঘুড়ে আসি কাঞ্চনজঙ্ঘা বর্ননা ।

তাপসী ভূত বিশ্বাস করে না ঠিকই, কিন্তু সেটা খাস কলকাতায় বসে। এখন উত্তর সিকিমের এই প্রত্যন্ত গ্রাম— একে গ্রাম বলাও ভুল হবে, পাহাড়তলির ওপর ইতস্তত ছড়িয়ে থাকা কয়েকটা কাঠের বাড়ি— যেখানে সাঁঝবেলাতেই নিঝুম রাত নেমে এসেছে, এখানে ওর কেমন একটা ভয়-ভয় করছে। তার ওপর বাইরে অঝোরে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। এই অঞ্চলে এই একটাই হোম-স্টে সদ্য খুলেছে। সাকুল্যে চারটি ঘর। এখন এই ভরা বর্ষায় কেউ আসে না সাধারণত। যদি হঠাৎ রঞ্জনের অ্যাডভোকেট বন্ধু তমালের ফোন না পেত, তা হলে তাপসীও আসত না। অফিসে একটা জরুরি মিটিং চলছিল, তখনই আসে ফোনটা। মিটিং চলাকালীন খুব জরুরি না হলে ও কোনও ব্যক্তিগত ফোন ধরে না, তাই ‘মিটিংয়ে আছি, পরে ফোন করছি’ মেসেজ দিয়ে কেটে দিয়েছিল। পরে ফোন করতে তমাল কোনও ভণিতা না করে ওকে জানায় যে, রঞ্জন এখন অফিসের ট্যুরে দিল্লিতে নেই, মণিকার সঙ্গে গোয়ায় ছুটি কাটাতে গেছে। ওরা ফিরে এসে বিয়ে করতে চায়। তমালকে দায়িত্ব দিয়ে গেছে ডিভোর্সের শর্তাবলি তাপসীর সঙ্গে ফাইনাল করে রাখতে। রঞ্জন উদার ভাবে বলেছে, তাপসীর সব ন্যায্য দাবি ও মেনে নেবে, প্রকৃত ভদ্রলোকের মতো। তমাল কথা বলছিল পারিবারিক বন্ধু হিসেবে নয়, এক জন ল’ইয়ার হিসেবে। এতই ...

শরীরে জল জমেছে? সুস্থ থাকতে কী করবেন জেনে নিন....

নিয়ম করে স্বাস্থ্যসম্মত খাওয়াদাওয়া-শরীরচর্চা সবই করেন, অথচ ওজন কমছে না কিছুতেই। কেন ভেবে পাচ্ছেন না! শরীরে জল জমছে না তো? এমনিতেই মানবদেহের ৫০-৬০ শতাংশ জল থাকে, কিন্তু যদি দেহে জলের পরিমাণ তার চেয়েও বেড়ে যায়? ফলে হাত-পা-গোড়ালি ফুলে যেতে শুরু করে। ব্যথাও হতে পারে। এই সমস্যা প্রায়শই হতে থাকলে ডিপ ভেন থ্রম্বোসিস, ফুসফুসে জল জমার মতো জটিল রোগও দেখা দিতে পারে। কেন দেহে জল জমে? অনেক ক্ষণ একজায়গায় বসে আছেন? তার কারণে শরীরে জল জমতে পারে। ঠিক একই রকম ভাবে এক জায়গায় অনেক ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেও এই সমস্যা হতে পারে। এছাড়া ঋতুস্রাব, গর্ভাবস্থা ইত্যাদির কারণেও দেহে জল জমতে পারে। তবে এই সব কারণ ছাড়াই যদি বারবার শরীরে জল জমে তা হলে একবার হৃদ্‌যন্ত্র পরীক্ষা করে নেওয়া দরকার। ফুসফুস বা কিডনিতে কোনও জটিল রোগ বাসা বেঁধে থাকলে, তার উপসর্গ হিসেবেও দেহে জল জমতে পারে। কী করবেন? ১) খাবারে নুনের পরিমাণ কমান। চিপস, নিমকি, বড়া, সিঙ্গাড়া ইত্যাদি খাওয়া বন্ধ করুন। পাস্তা, পিৎজা, বার্গার, আইসক্রিম খাওয়াও চলবে না। ২) পাতে রাখুন টমেটো, কলা, অ্যাভোক্যাডো, শসা, বাঁধাকপি, পার্সলে পাতা ও পালং শাক। এছাড়া চিকিৎসকের...