রান্নায় অনেকেই তেজপাতা ব্যবহার করেন। বিশেষ করে ডালে তো এই পাতার একচেটিয়া রাজত্ব। কিন্তু মৃদু ঝাঁঝালো সুগন্ধের বাইরেও এই পাতার আরও অনেক গুণ রয়েছে। বিশেষ করে এই পাতা শরীরের ছোটখাটো কিছু সমস্যা সহজেই সারিয়ে দিতে পারে।
কোন কোন রোগ তেজপাতা সহজেই সারাতে পারে? দেখে নেওয়া যাক।
• ত্বকে নানা ধরনের ছত্রাকঘটিত সংক্রমণ হয়। বিশেষ করে দাদের সমস্যা হয় অনেকেরই। তাঁরা একটি করে তেজপাতা চার কাপ জলে ফুটিয়ে নিয়ে, সেই জলটি খেতে পারেন। দিনে চার-পাঁচ বার এই জল খেতে হয়। সপ্তাহ পাঁচেক এ ভাবে চললেই সুফল পাওয়া যায়। এমনকি ওই জল দাদের উপর লাগালেও লাভ হয়।
• ফোঁড়ার সমস্যায় কষ্ট পাচ্ছেন? তেজপাতা বেটে তার উপরে প্রলেপ দিন। ব্যথা কমবে। ফোঁড়া তাড়াতাড়ি শুকিয়েও যাবে।
• কাশি হলে বা জোরে কথা বললে অনেকের গলা ভেঙে যায়। তেজপাতা ফুটিয়ে নিয়ে সেই জল খেলে গলাব্যথা কমে যেতে পারে।
• গায়ে দুর্গন্ধ হচ্ছে? বা ত্বক শুষ্ক হয়ে গিয়েছে? তেজপাতা বেটে নিয়ে চন্দনের প্রলেপের মতো লাগান। দুটো সমস্যাই কমবে।
• শরীর শুকিয়ে গিয়েছে? প্রস্রাবের রং হলুদ? দু’-তিন কাপ গরম জলে তেজপাতা দু’ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। তার পরে ছেঁকে নিয়ে দু’-তিন ঘণ্টা অন্তর জলটি পান করুন। সমস্যা কমবে।
• প্রচণ্ড ঘামেন? তেজপাতা বাটা মেখে নিন সারা গায়ে। আধ ঘণ্টা রাখার পরে স্নান করে নিন। ঘামের সমস্যা কমবে।
জিনগত পরিব্যক্তির কারণে করোনাভাইরাস ক্রমশই মারণক্ষমতা হারাচ্ছে। এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্টের। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম।’’ আগামী দিনেও করোনাভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন ডেম। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এটি সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।’’ বৃহস্পতিবার ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় তাঁদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেছেন, ‘‘জিনের পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ ডেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে ‘নির্বিষ’ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেক...

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন