অষ্টমীতে লুচি আর কাশ্মীরি আলুর দম হলে তো
নবমীতে তো মাংস চাই-ই চাই। কোলেস্টেরল, ডায়াবিটিস, ইউরিক অ্যাসিড— নানা রকম রোগের দাপটে সারা বছর মুরগির ঝোলই কপালে বেশি জোটে। পুজোর ক’দিন একটু নিয়মের বাইরে গিয়ে খাওয়াদাওয়া সব বাঙালি ঘরেই চলে। তাই পাঁঠা বা খাসির মাংসের পাল্লাই ভারী হয় বেশি। বাজারে খাসির মাংসের দর এই কয়েক দিন যতই চড়ুক, ভিড় ঠেলে ঘাম ঝরিয়ে আম বাঙালি সকাল সকাল বাজারে ঠিক পৌঁছে যাবেন। বেছে বেছে দরদাম করে কচি পাঁঠা ঠিক জোগা়ড় করে আনবেন।
তবে মটন কষা অনেক বাড়িতেই কোনও না কোনও রবিবারে হয়। পুজোর দিনে মন চায় স্পেশ্যাল কিছু। তাই একটু অন্য ভাবে খাসির বা পাঁঠার মাংস রান্না করে দেখুন না। পোলাও বা সাদা ভাতের সঙ্গে জমিয়ে মটন খেতে চাইলে বানিয়ে ফেলুন লাল কোর্মা। কী ভাবে বানাবেন দেখে নিন।
উপকরণ
খাসির মাংস: ১ কেজি
টক দই: আধ কাপ
আদাবাটা: ১ টেবিল চামচ
রসুনবাটা: ১ চা-চামচ
লাল মরিচগুঁড়ো: ২ চা-চামচ
হলুদগুঁড়ো: আধ চা-চামচ
ধনেগুঁড়ো: ২ চা-চামচ
গরম মসলার গুঁড়ো: ১ চা-চামচ
কাজুবাটা: ১ টেবিল চামচ
পেঁয়াজ বেরেস্তা: আধ কাপ
সাদা গোলমরিচের গুঁড়ো: আধ চা-চামচ
তেল: ১/৪ কাপ
ঘি: ১/৪ কাপ
নুন: স্বাদমতো
চিনি: ১/৪ চা-চামচ
গোটা: কাঁচা মরিচ ৬টি
প্রণালী
একটি বাটিতে টক দই নিয়ে তার মধ্যে সব মশলা ভাল করে মিশিয়ে নিন।
গ্যাসে হাঁড়ি চাপিয়ে দিন। তেল দিয়ে মশলা কষিয়ে নিন।
এ বার খাসির মাংস দিয়ে নেড়েচেড়ে ঢেকে দিন।
মাংস অর্ধেক সিদ্ধ হয়ে এলে বেরেস্তা দিতে হবে। আর এক বার খুব ভাল করে কষিয়ে নিন।
২ থেকে ৩ কাপ গরম জল দিয়ে অল্প আঁচে মাংস সিদ্ধ হতে দিন।
সিদ্ধ হয়ে এলে চিনি ও কাঁচা মরিচ দিয়ে ২ মিনিটের জন্য ঢেকে নামিয়ে পোলাও বা সাদা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
জিনগত পরিব্যক্তির কারণে করোনাভাইরাস ক্রমশই মারণক্ষমতা হারাচ্ছে। এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্টের। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম।’’ আগামী দিনেও করোনাভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন ডেম। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এটি সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।’’ বৃহস্পতিবার ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় তাঁদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেছেন, ‘‘জিনের পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ ডেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে ‘নির্বিষ’ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেক...

Drunnn
উত্তরমুছুন