একটি-দু’টি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়েছে শান্তিতে। এ বার নজরে ফলাফল। সেই ফলাফলে যাতে কারচুপির অভিযোগ না ওঠে, তাই কড়া নিরাপত্তায় মোড়ানো ইভিএম রাখা হয়েছে স্ট্রং রুমে। ভবানীপুর এলাকার ইভিএম রাখা আছে সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুলে। আর গত এক সপ্তাহ ধরে পোস্টাল ব্যালট রাখা আছে আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে।
ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পরে, বৃহস্পতিবার রাতেই ২৮৭টি বুথের ইভিএম সিল করা অবস্থায় নিয়ে আসা হয় সাখাওয়াত স্কুলের স্ট্রং রুমে। শুরু হয় অতন্দ্র প্রহরা। সাখাওয়াত এবং আলিপুরে মূল পাহারার দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তিন সেকশন, অর্থাৎ, ২৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ২৪ ঘণ্টা ধরে সেখানে নজরদারি চালাচ্ছেন। এর বাইরের অংশের নিরাপত্তার দায়িত্ব অবশ্য রয়েছে কলকাতা পুলিশের হাতে। সেখানে এক জন ইনস্পেক্টরের অধীনে ১৮ জন পুলিশকর্মী প্রহরীর কাজ করছেন। পুলিশের এক কর্তা জানাচ্ছেন, এ ছাড়া ওই দুই জায়গা যে থানার অধীন, তাদের সব সময়ে নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে।
ভোট গণনার দিন, অর্থাৎ, রবিবার সকালে কড়া পাহারায় সাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুলে নিয়ে আসা হবে পোস্টাল ব্যালট। তার আগে পর্যন্ত বাইরের কেউ যাতে ওই দুই জায়গায় ঢুকতে না পারেন, সে জন্য স্থানীয় থানা নিরাপত্তা ব্যবস্থার তদারকি করছে। শুক্রবার সকালেই সেই নিরাপত্তা দেখতে স্কুলে যান কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা।
জিনগত পরিব্যক্তির কারণে করোনাভাইরাস ক্রমশই মারণক্ষমতা হারাচ্ছে। এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্টের। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম।’’ আগামী দিনেও করোনাভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন ডেম। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এটি সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।’’ বৃহস্পতিবার ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় তাঁদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেছেন, ‘‘জিনের পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ ডেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে ‘নির্বিষ’ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেক...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন