রাজ্যে করোনা অতিমারি নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ ৩০অক্টোবর পর্যন্ত বৃদ্ধি করল রাজ্য সরকার৷ কিন্তু দুর্গাপুজো (Durga Puja 2021) এবং উৎসবের মরশুম উপলক্ষে ১০ থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত নাইট কারফিউ থাকছে না (Night Curfew relaxed in West Bengal for Durga Puja)৷ এ দিন বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই ঘোষণা করে দিল রাজ্য প্রশাসন৷
যদিও এখনও লোকাল ট্রেন (Local Train) চালু করায় ছাড়পত্র দেয়নি রাজ্য প্রশাসন (New Covid 19 Guidelines in West Bengal)৷ শুধুমাত্র ১০ থেকে ২০ অক্টোবর রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত সাধারণ মানুষ এবং যানবাহনের চলাফেরায় কোনও বাধা থাকছে না৷
আগামী ১০ অক্টোবর পঞ্চমী৷ ফলে সেদিন থেকেই দুর্গাপুজো নিয়ে মানুষের উৎসাহ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায়৷ রাতে জেগেও বহু মানুষ ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েন৷ যেহেতু এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনা অতিমারি যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তাই পুজোর সময় সাধারণ মানুষের আনন্দে বাধা দিতে চায় না রাজ্য প্রশাসন৷
তবে নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সহ বাকি যাবতীয় বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে৷ আগের নির্দেশিকায় যে যে বিধিনিষেধ জারি ছিল, তার সবই আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকছে৷ যার অর্থ এখনও লোকাল ট্রেনের চলাচলে অনুমোদন দিল না রাজ্য প্রশাসন৷ একই ভাবে ১০ থেকে ২০ অক্টোবরের সময়সীমা বাদ দিয়ে মাসের বাকি দিনগুলিতে নাইট কারফিউ মেনে চলতে হবে৷
দুর্গা পুজো উদযাপনে বা রাত জেগে ঠাকুর দেখার ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ জারি থাকবে কি না, তা নিয়ে বহু সাধারণ মানুষও উদ্বেগে ছিলেন৷ কারণ দুর্গা পুজোর সঙ্গে অনেকের রুটি- রুজিও জড়িয়ে রয়েছে৷ রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে তাঁরা অবশ্যই স্বস্তি পাবেন৷
জিনগত পরিব্যক্তির কারণে করোনাভাইরাস ক্রমশই মারণক্ষমতা হারাচ্ছে। এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্টের। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম।’’ আগামী দিনেও করোনাভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন ডেম। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এটি সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।’’ বৃহস্পতিবার ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় তাঁদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেছেন, ‘‘জিনের পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ ডেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে ‘নির্বিষ’ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেক...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন