ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ার মতো রোগ বর্ষায় ছেয়ে যায়। শরৎ পড়ে গেলেও বৃষ্টি এখনও পিছু ছাড়েনি এ বছর। আবহাওয়া এমন, যে ভাইরাল ফ্লুও বাড়ছে। চুপিসাড়ে বসে রয়েছে করোনাও। একটু কোথাও আলগা পেলেই কোপ বসাচ্ছে। এই সময়ে নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য প্রয়োজন কিছু বাড়তি সাবধানতা। করোনার সঙ্গে ফ্লু বা ম্যালেরিয়ার মতো রোগের আবার কিছু উপসর্গও মিলে যায়। তাই হঠাৎ জ্বর হলে, তার কারণ বোঝাও মুশকলি হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
অথচ প্রত্যেকটি রোগই যথেষ্ট গুরুতর। তাই রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা শুরু হতে যদি দেরি হয়ে যায়, তা হলে পরিস্থিতি অনেক সময়েই হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে। সাধারণত ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার মতো অসুখ সেরে যায় ঠিক চিকিৎসায়। কিন্তু চিকিৎসায় দেরি হয়ে গেলে, হাসপাতালে ভর্তি করানো আবশ্যিক হয়ে পড়ে। পুজোর বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। এখন এ সব বিপত্তি না ঘটাই বাঞ্ছনীয়। কী করে নিজেকে এই সব অসুখ থেকে বাঁচানো যায়, জেনে নিন।
১। বৃষ্টির সময়ে মশা-মাছির থেকে নানা রকম রোগ হয়। তাই সাবধান হতে হবে সেখান থেকেই। বাড়ির জানলায় নেট লাগিয়ে মশা-মাছির প্রবেশ আটকান। মশার ওষুধ স্প্রে করতে পারেন মাঝেমাঝে। মশা তাড়ানোর তরল ওষুধ বা কয়েল ব্যবহার করুন। সন্ধ্যার সময়ে বাড়িতে ধুনো দিলেও অনেকটা মশার উপদ্রব কমে। রাতে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করবেন।
২। বাইরে বেরোলে যতটা পারেন ঢাকা পোশাক পরুন। গলা, হাত বা শরীরের অন্য যে অংশ পোশাকে ঢাকা নেই, সেই অংশে মশা তাড়ানোর ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
৩। বাড়ির চারপাশে মশা যাতে না জন্মাতে পারে, তার খেয়াল রাখুন। কোনও জায়গায় জল জমে থাকলে, তা অবিলম্বে দূর করার চেষ্টা করুন। ছাদ বা বাগানে কোনও টব, বালতি বা খোলা পাত্রে যদি বৃষ্টির জল জমে থাকে, তা ফেলে দিন।
৪। যদি জ্বর বা অন্য কোনও উপসর্গ দেখেন সেগুলি বা়ড়তে দেবেন না। শারীরিক পরীক্ষাগুলি করাতে দেরি করবেন না।
৫। ভাইলার ফ্লু ঠেকাতে আপনি প্রতিষেধক নিতে পারেন। কিন্তু ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার মতো অসুখের কোনও রকম প্রতিষেধক এখনও বাজারে নেই। তাই সাবধান হতে হবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমেই।
জিনগত পরিব্যক্তির কারণে করোনাভাইরাস ক্রমশই মারণক্ষমতা হারাচ্ছে। এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্টের। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম।’’ আগামী দিনেও করোনাভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন ডেম। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এটি সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।’’ বৃহস্পতিবার ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় তাঁদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেছেন, ‘‘জিনের পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ ডেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে ‘নির্বিষ’ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেক...

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন