সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ষষ্ঠীর দিনই মুখে ব্রণ , ঘরোয়া উপায়ে এক রাতে কমাবেন কী করে !

ব্রণ নিয়ে বিড়ম্বনা অনেকেরই। ঠিক যেন বেছে বেছে বিশেষ দিনগুলির আগে ব্রণ বেরোয়। হয় প্রথম ডেট, কিংবা চাকরির সাক্ষাৎকার কিংবা পুজো-পার্বণের আগের দিন। সারা মাস ত্বক দারুণ ঝকঝকে থাকল। ঠিক বিশেষ দিনের আগে কপালে বিশাল একটা ব্রণ বেরিয়ে গেল— এই ঘটনা ঘটেই থাকে। আর তাতে মন খারাপ হয়ে যায় প্রত্যকেরই। দুশ্চিন্তায় পড়ে যান সকলে। কী করে ব্রণ গায়েব করা যায়, তা নিয়ে গবেষণা করতে বসেন ইন্টারনেট খুলে। অনেকে ধৈর্য না ধরতে পেরে হয়তো ফাটিয়েই ফেলেন ব্রণ। আর তাতেই ত্বকের আরও ক্ষতি হয়ে যায়। ব্রণ ফেটে রক্ত বেরিয়ে ফোলা ভাব কমে যায় ঠিকই, কিন্তু দাগ বসে যায় মুখে। খুব বেশি ক্ষত হলে গর্তও হয়ে যেতে পারে। সেই দাগ মেলানো পরে খুব কঠিন। তা হলে কী করে ব্রণ উধাও করা যায়। এক রাতের মধ্যে ব্রণ মিলিয়ে দেওয়া কি আদৌ সম্ভব? অনেকটাই সম্ভব। বেনজয়েল পারোক্সাইড, সালফার, টি-ট্রি অয়েল বা স্যালিসিলিক অ্যাসিড— যে কোনও এক ধরনের উপকরণের উপর ভরসা রাখতে পারেন। এগুলি সবই ‘স্পট ট্রিটমেন্ট’-এর জন্য দারুণ কাজে দেয়। যাঁদের ব্রণর সমস্যা তাঁরা এর মধ্যে কোনও একটা বাড়িতে রাখতে পারেন। টি-ট্রি অয়েল বা স্যালিসিলিক অ্যাসিড রয়েছে এমন কোনও ক্রিম ব্রণ উপরে সারা রাত লাগিয়ে রাখলে, পর দিন ব্রণ অনেকটাই বসে যায়। ব্রণ ঠিক করার পদ্ধতি প্রথমে ভাল কোনও ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নেবেন। তার পরে একটি পাতলা কাপড়ে বরফ মুড়ে ব্রণর উপর রাখুন। এতে ব্রণর ফোলা ভাব এবং লালচে ভাব অনেকটাই কমে যায়। তার পরে হয় টি-ট্রি অয়েল কিংবা স্যালিসিলিক অ্যাসিড বা বেনজয়েল পারোক্সাইড আঙুলে নিয়ে ঠিক ব্রণর উপর লাগিয়ে নিন। এখন বাজারে অনেক রকম ‘প্যাচ ট্রিটমেন্ট’-এর মাস্কও পাওয়া যায়। সঠিক উপকরণ থাকলে সেগুলিও দারুণ কাজে দেয়। কেনার আগে উপকরণ মিলিয়ে দেখে নেবেন। ব্রণ বেরোলে সেই সময়ে তেল-মশলা-ভাজাভুজি একদম খাবেন না। কারণ শরীরের ভিতর থেকে চিকিৎসা করাও প্রয়োজন। বেশি করে জল খাওয়া আবশ্যিক। যাতে শরীরের ভিতরের সব বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যায়। ঘরোয়া টোটকা
যদি ঘরে কোনও রকম জরুরি উপকরণ দেওয়া ক্রিম বা সিরাম না থাকে, তা হলে ভরসা রাখতে পারেন ঘরোয়া টোটকাতেও। কী করে করবেন সে ক্ষেত্রে? ১। বাড়িতে অ্যাসপিরিন আছে? একটি ট্যাবলেট নিয়ে গুঁড়ো করে পেস্ট বানিয়ে নিন। ব্রণর উপরে লাগান। লালচে ভাব কমে যাবে এক রাতেই। ২। টুথপেস্ট সব বাড়িতেই থাকে। ব্রণর উপর লাগিয়ে রাখলে ফোলা ভাব কমে যায় কয়েক ঘণ্টাতেই। তবে জেল টুথপেস্ট চলবে না। সাদা টুথপেস্ট প্রয়োজন এই কাজের জন্য। ৩। গরম জলে তুলো ভিজিয়ে ভাপ দিন। এতেও ফোলা ভাব কমে যায়। এবং ব্রণর থেকে ত্বকের অন্য সংক্রমণের আশঙ্কাও কমে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

COVID-19: মারণক্ষমতা হারাচ্ছে করোনাভাইরাস, দাবি অক্সফোর্ড। জেনে নিন....

জিনগত পরিব্যক্তির কারণে করোনাভাইরাস ক্রমশই মারণক্ষমতা হারাচ্ছে। এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্টের। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম।’’ আগামী দিনেও করোনাভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন ডেম। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এটি সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।’’ বৃহস্পতিবার ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় তাঁদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেছেন, ‘‘জিনের পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ ডেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে ‘নির্বিষ’ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেক...

চলো একটু ঘুড়ে আসি কাঞ্চনজঙ্ঘা বর্ননা ।

তাপসী ভূত বিশ্বাস করে না ঠিকই, কিন্তু সেটা খাস কলকাতায় বসে। এখন উত্তর সিকিমের এই প্রত্যন্ত গ্রাম— একে গ্রাম বলাও ভুল হবে, পাহাড়তলির ওপর ইতস্তত ছড়িয়ে থাকা কয়েকটা কাঠের বাড়ি— যেখানে সাঁঝবেলাতেই নিঝুম রাত নেমে এসেছে, এখানে ওর কেমন একটা ভয়-ভয় করছে। তার ওপর বাইরে অঝোরে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। এই অঞ্চলে এই একটাই হোম-স্টে সদ্য খুলেছে। সাকুল্যে চারটি ঘর। এখন এই ভরা বর্ষায় কেউ আসে না সাধারণত। যদি হঠাৎ রঞ্জনের অ্যাডভোকেট বন্ধু তমালের ফোন না পেত, তা হলে তাপসীও আসত না। অফিসে একটা জরুরি মিটিং চলছিল, তখনই আসে ফোনটা। মিটিং চলাকালীন খুব জরুরি না হলে ও কোনও ব্যক্তিগত ফোন ধরে না, তাই ‘মিটিংয়ে আছি, পরে ফোন করছি’ মেসেজ দিয়ে কেটে দিয়েছিল। পরে ফোন করতে তমাল কোনও ভণিতা না করে ওকে জানায় যে, রঞ্জন এখন অফিসের ট্যুরে দিল্লিতে নেই, মণিকার সঙ্গে গোয়ায় ছুটি কাটাতে গেছে। ওরা ফিরে এসে বিয়ে করতে চায়। তমালকে দায়িত্ব দিয়ে গেছে ডিভোর্সের শর্তাবলি তাপসীর সঙ্গে ফাইনাল করে রাখতে। রঞ্জন উদার ভাবে বলেছে, তাপসীর সব ন্যায্য দাবি ও মেনে নেবে, প্রকৃত ভদ্রলোকের মতো। তমাল কথা বলছিল পারিবারিক বন্ধু হিসেবে নয়, এক জন ল’ইয়ার হিসেবে। এতই ...

শরীরে জল জমেছে? সুস্থ থাকতে কী করবেন জেনে নিন....

নিয়ম করে স্বাস্থ্যসম্মত খাওয়াদাওয়া-শরীরচর্চা সবই করেন, অথচ ওজন কমছে না কিছুতেই। কেন ভেবে পাচ্ছেন না! শরীরে জল জমছে না তো? এমনিতেই মানবদেহের ৫০-৬০ শতাংশ জল থাকে, কিন্তু যদি দেহে জলের পরিমাণ তার চেয়েও বেড়ে যায়? ফলে হাত-পা-গোড়ালি ফুলে যেতে শুরু করে। ব্যথাও হতে পারে। এই সমস্যা প্রায়শই হতে থাকলে ডিপ ভেন থ্রম্বোসিস, ফুসফুসে জল জমার মতো জটিল রোগও দেখা দিতে পারে। কেন দেহে জল জমে? অনেক ক্ষণ একজায়গায় বসে আছেন? তার কারণে শরীরে জল জমতে পারে। ঠিক একই রকম ভাবে এক জায়গায় অনেক ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেও এই সমস্যা হতে পারে। এছাড়া ঋতুস্রাব, গর্ভাবস্থা ইত্যাদির কারণেও দেহে জল জমতে পারে। তবে এই সব কারণ ছাড়াই যদি বারবার শরীরে জল জমে তা হলে একবার হৃদ্‌যন্ত্র পরীক্ষা করে নেওয়া দরকার। ফুসফুস বা কিডনিতে কোনও জটিল রোগ বাসা বেঁধে থাকলে, তার উপসর্গ হিসেবেও দেহে জল জমতে পারে। কী করবেন? ১) খাবারে নুনের পরিমাণ কমান। চিপস, নিমকি, বড়া, সিঙ্গাড়া ইত্যাদি খাওয়া বন্ধ করুন। পাস্তা, পিৎজা, বার্গার, আইসক্রিম খাওয়াও চলবে না। ২) পাতে রাখুন টমেটো, কলা, অ্যাভোক্যাডো, শসা, বাঁধাকপি, পার্সলে পাতা ও পালং শাক। এছাড়া চিকিৎসকের...