সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Weather Report : বর্ষা বিদায়ে ভরসা উত্তুরে ঠান্ডা বাতাস শুরু ....

অবশেষে শীতল উত্তুরে বাতাসের পদধ্বনি শুনতে পেয়েছে মৌসম ভবন। শুক্রবার তারা জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে উত্তুরে হাওয়ার আগমনের পথও প্রশস্ত হচ্ছে। তার ফলে আগামী মঙ্গলবার থেকেই উত্তর-পশ্চিম ভারতে ঠান্ডা বাতাসের কারিকুরি নজরে আসতে পারে এবং সেই ঠান্ডা হাওয়ার ধাক্কাতেই পাততাড়ি গোটাতে পারে বর্ষা। তবে এক ধাক্কায় সে পাততাড়ি গোটাবে নাকি ধাপে ধাপে বিদায় নেবে, তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে। আবহবিজ্ঞানীদের মতে, যদি উত্তুরে হাওয়া খুব জোরালো হয় তা হলে দু-তিন দিনের মধ্যে গোটা দেশ থেকে বর্ষা বিদায় নিতে পারে। কিন্তু ধাক্কা যদি দুর্বল হয় তা হলে একটু বেশি সময় লাগবে। অনেকেই অবশ্য আরব সাগরের ঘূর্ণিঝড় শাহিনের কথা বলছেন। ঘূর্ণিঝড় গুলাবের অবশিষ্টাংশ আরব সাগর পর্যন্ত গিয়েছিল এবং ফের শক্তি বৃদ্ধি করে ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। তবে শাহিনের দাপটে ভারতে কোনও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই। সেটি ওমান উপসাগরের দিকে যাচ্ছে বলে মৌসম ভবন জানিয়েছে। কিন্তু বর্ষা বিদায় পালা সম্পূর্ণ হতে কত দিন সময় লাগবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বাঙালির প্রশ্ন, দুর্গাপুজোর আগেই কি বর্ষা রাজ্য থেকে বিদায় নেবে? প্রসঙ্গত, গত বছরই উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে বর্ষা বিদায় নিতে নিতে মধ্য ভারতে এসে আটকে গিয়েছিল। তার পর আচমকা এক ধাক্কায় মধ্য ভারত থেকে পূর্ব ভারত হয়ে দেশান্তরী হয়েছিল বর্ষা। রাজ্য থেকে বর্ষা বিদায় নিয়েছিল ২১ অক্টোবর। দুর্গাপুজোর পঞ্চমীর দিন। তবে এ বার যত ক্ষণ না উত্তুরে বাতাস ঢুকছে তত ক্ষণ এ ব্যাপারে নিশ্চিত কিছু বলা সম্ভব নয় বলেই আবহবিদেরা জানিয়েছেন। গাঙ্গেয় বঙ্গে যে আপাতত বৃষ্টির দাপট কমছে সে কথা আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। তবে আগামী দিন দুয়েক উত্তরবঙ্গে জোরালো বৃষ্টি মিলতে পারে। আগামী সপ্তাহ থেকে উত্তরবঙ্গেও শুকনো আবহাওয়া মিলতে পারে বলে আবহবিদদের অনেকে মনে করছেন। বস্তুত, এ দিন থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের আকাশে শরতের ছোঁয়া মিলেছে। নীল আকাশ, সাদা তুলোর মতো মেঘ, খটখটে রোদ, গরম এবং মাঝেমধ্যে দমকা হাওয়া। কোথাও কোথাও স্থানীয় ভাবে দু’এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। আবহবিদদের অনেকে বলছেন, এমন বৃষ্টি শরৎকালের বৈশিষ্ট্য। যাকে চলতি ভাষায় ভাসা মেঘের বৃষ্টি বলে। রোদ, বাতাসে আর্দ্রতা এবং বায়ুমণ্ডলের দু’টি স্তরের ফলে তাপমাত্রার বেশি ফারাকে এমন হয়। আকাশের এই ভোলবদলে আশায় বুক বেঁধেছে বাঙালি। প্রশ্ন, গত বছরের মত এ বারও বোধনের আগেই বর্ষা দেশছাড়া হবে তো?

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

COVID-19: মারণক্ষমতা হারাচ্ছে করোনাভাইরাস, দাবি অক্সফোর্ড। জেনে নিন....

জিনগত পরিব্যক্তির কারণে করোনাভাইরাস ক্রমশই মারণক্ষমতা হারাচ্ছে। এমনটাই দাবি টিকা নির্মাতা সংস্থা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষক ডেম সারা গিলবার্টের। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতিগুলির প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার ক্ষমতা অনেকটাই কম।’’ আগামী দিনেও করোনাভাইরাসের ‘দুর্বল’ হওয়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছেন ডেম। ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষণাগার ‘জেনার ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান ডেম বলেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত এটি সাধারণ জ্বরের (ফ্লু) ভাইরাসের স্তরেই চলে আসবে।’’ বৃহস্পতিবার ‘রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিন’-এর আলোচনাসভায় তাঁদের গবেষণার কথা জানিয়ে ডেম বলেছেন, ‘‘জিনের পরিব্যক্তির কারণে ভবিষ্যতে আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ ডেম জানিয়েছেন, বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের প্রাণঘাতী ক্ষমতা কমতে থাকে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। তবে ‘নির্বিষ’ হয়ে পড়লেও ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা কমার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেক...

চলো একটু ঘুড়ে আসি কাঞ্চনজঙ্ঘা বর্ননা ।

তাপসী ভূত বিশ্বাস করে না ঠিকই, কিন্তু সেটা খাস কলকাতায় বসে। এখন উত্তর সিকিমের এই প্রত্যন্ত গ্রাম— একে গ্রাম বলাও ভুল হবে, পাহাড়তলির ওপর ইতস্তত ছড়িয়ে থাকা কয়েকটা কাঠের বাড়ি— যেখানে সাঁঝবেলাতেই নিঝুম রাত নেমে এসেছে, এখানে ওর কেমন একটা ভয়-ভয় করছে। তার ওপর বাইরে অঝোরে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। এই অঞ্চলে এই একটাই হোম-স্টে সদ্য খুলেছে। সাকুল্যে চারটি ঘর। এখন এই ভরা বর্ষায় কেউ আসে না সাধারণত। যদি হঠাৎ রঞ্জনের অ্যাডভোকেট বন্ধু তমালের ফোন না পেত, তা হলে তাপসীও আসত না। অফিসে একটা জরুরি মিটিং চলছিল, তখনই আসে ফোনটা। মিটিং চলাকালীন খুব জরুরি না হলে ও কোনও ব্যক্তিগত ফোন ধরে না, তাই ‘মিটিংয়ে আছি, পরে ফোন করছি’ মেসেজ দিয়ে কেটে দিয়েছিল। পরে ফোন করতে তমাল কোনও ভণিতা না করে ওকে জানায় যে, রঞ্জন এখন অফিসের ট্যুরে দিল্লিতে নেই, মণিকার সঙ্গে গোয়ায় ছুটি কাটাতে গেছে। ওরা ফিরে এসে বিয়ে করতে চায়। তমালকে দায়িত্ব দিয়ে গেছে ডিভোর্সের শর্তাবলি তাপসীর সঙ্গে ফাইনাল করে রাখতে। রঞ্জন উদার ভাবে বলেছে, তাপসীর সব ন্যায্য দাবি ও মেনে নেবে, প্রকৃত ভদ্রলোকের মতো। তমাল কথা বলছিল পারিবারিক বন্ধু হিসেবে নয়, এক জন ল’ইয়ার হিসেবে। এতই ...

শরীরে জল জমেছে? সুস্থ থাকতে কী করবেন জেনে নিন....

নিয়ম করে স্বাস্থ্যসম্মত খাওয়াদাওয়া-শরীরচর্চা সবই করেন, অথচ ওজন কমছে না কিছুতেই। কেন ভেবে পাচ্ছেন না! শরীরে জল জমছে না তো? এমনিতেই মানবদেহের ৫০-৬০ শতাংশ জল থাকে, কিন্তু যদি দেহে জলের পরিমাণ তার চেয়েও বেড়ে যায়? ফলে হাত-পা-গোড়ালি ফুলে যেতে শুরু করে। ব্যথাও হতে পারে। এই সমস্যা প্রায়শই হতে থাকলে ডিপ ভেন থ্রম্বোসিস, ফুসফুসে জল জমার মতো জটিল রোগও দেখা দিতে পারে। কেন দেহে জল জমে? অনেক ক্ষণ একজায়গায় বসে আছেন? তার কারণে শরীরে জল জমতে পারে। ঠিক একই রকম ভাবে এক জায়গায় অনেক ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেও এই সমস্যা হতে পারে। এছাড়া ঋতুস্রাব, গর্ভাবস্থা ইত্যাদির কারণেও দেহে জল জমতে পারে। তবে এই সব কারণ ছাড়াই যদি বারবার শরীরে জল জমে তা হলে একবার হৃদ্‌যন্ত্র পরীক্ষা করে নেওয়া দরকার। ফুসফুস বা কিডনিতে কোনও জটিল রোগ বাসা বেঁধে থাকলে, তার উপসর্গ হিসেবেও দেহে জল জমতে পারে। কী করবেন? ১) খাবারে নুনের পরিমাণ কমান। চিপস, নিমকি, বড়া, সিঙ্গাড়া ইত্যাদি খাওয়া বন্ধ করুন। পাস্তা, পিৎজা, বার্গার, আইসক্রিম খাওয়াও চলবে না। ২) পাতে রাখুন টমেটো, কলা, অ্যাভোক্যাডো, শসা, বাঁধাকপি, পার্সলে পাতা ও পালং শাক। এছাড়া চিকিৎসকের...